ওড়িশার বিরুদ্ধে গোল শূন্য ড্র, লিগ তালিকায় তিন নম্বরে থাকল এটিকে মোহনবাগান

ভুবনেশ্বর: টানা তিন ম্যাচ জিতে দারুণ ফর্মে ছিল এটিকে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল তারা। ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল দুই ক্লাব। শেষ ম্যাচে জামশেদপুরকে ১-০ গোলে হারায় মোহনবাগান। তবে এদিন প্রথম ধারে সকলকে অবাক করে দিয়ে হুগো বুমুকে রাখেননি জুয়ান ফেরান্ডো।

শুরু করেছিলেন তরুণ স্ট্রাইকার ফারদিন আলিকে রেখে। ৪-২-৩-১ খেলছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধে বলের দখল রাখার ক্ষেত্রে এগিয়েছিল ওড়িশা। জেরি, আইজ্যাক, পেড্র, মরিসিওরা বুদ্ধি করে আক্রমণ তুলে আনছিলেন সবুজ মেরুন বক্সে। কিন্তু ব্রেন্ডন হামিল, প্রীতম এবং শুভাশিস ভুল না করার কারণে প্রথমার্ধে গোল হজম করতে হয়নি সবুজ মেরুনকে।

সুযোগ পেলে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছিল মোহনবাগানও, তবে ম্যাক হিউর শট, দিমির প্রচেষ্টা নিশানায় থাকেনি। লিস্টন চেষ্টা করলেও ফাইনাল বল বাড়াতে পারছিলেন না। কিয়ানকে নিয়ে এল মোহনবাগান। কিন্তু উড়িষ্যার আক্রমণ বেড়েই চলেছিল। সেট পিস থেকে একের পর এক বিপদের সৃষ্টি করছিল ওড়িশা।

সবুজ সমর্থকরা ভাবছিলেন কখন নামানো হবে হুগোকে। এর মধ্যেই একবার দিমিত্রি শট নিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচিয়ে দেন ওড়িশার গোলরক্ষক। লিষ্টন শট নেন। আবার সেভ। ৭৯ মিনিটে হুগো এবং হানামটেকে নিয়ে আসেন সবুজ মেরুন কোচ। ওসামা মালিকের হেড পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ভাগ্য খারাপ ওড়িশার।

শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থায় খেলা শেষ হয়। ১০ ম্যাচে কুড়ি পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে রইল এটিকে মোহনবাগান। চতুর্থ স্থানে থাকল ওড়িশা। মাঝে অবশ্য মাথা গরম করে ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের কিছু ফুটবলার। তবে রেফারি শ্রীকৃষ্ণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে দেননি।