ফ্রান্স শক্তিশালী কিন্তু অপরাজেয় নয়, ফাইনালের আগে মেসিদের তাতালেন মারাদোনার সতীর্থ

#রোজারিও: জর্জ বুরুচাগা আর্জেন্টাইন ফুটবলে এমন একটা নাম যার কথা স্মরণ করতে হয় আজকেও। প্রচুর গোল করেছেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে এমন নয়। কিন্তু তিনি না থাকলে হয়তো দিয়েগো মারাদোনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্পটা লেখা যেত না। ১৯৮৬-র ফাইনালে আপনার জয়সূচক গোল নিয়ে কী বলবেন? প্রশ্নটা শুনেই কেমন যেন আবেগপ্লুত হয়ে পড়লেন বুরুচাগা।

একটু সামলে নিয়ে বললেন ওটাই জীবনের সেরা স্মৃতি। তখন মিডিয়ার এতটা দাপট ছিল না। টাকার অঙ্কে মাথা ঘুরে যেত না। কিন্তু ভালো খেলা বা একটা অসাধারণ গোলের তৃপ্তি ছিল বহুগুণ। কতদিন আগের ঘটনা। অথচ কত সজীব! আমাদের কোচ কার্লোস বিলার্দো বলতেন, মারাদোনা ও বাকি ১০ জন খেলতে নামছে। মেসির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

গত ২০ বছরে লিওই বিশ্বের সেরা ফুটবলার। একেবারে ভিন্ন ধারার ফুটবল খেলছে। যেমন দক্ষ স্কোরার, তেমনই অ্যাসিস্ট স্পেশালিস্ট। গতবছর কোপা আমেরিকা জেতার পর কাতারে চাপহীন ফুটবল খেলছে। কাপ না জিতলেও মেসির গরিমা থাকবে অটুট। গত ৭০ বছরের সেরা পাঁচ ফুটবলারের নাম— আলফ্রেডো ডি স্টেফানো, জোহান ক্রুয়েফ, পেলে, মারাদোনা ও মেসি।

এর মধ্যে চারজনই দক্ষিণ আমেরিকার। মেসির কাপ জয় খুবই জরুরি। অনেকে বলেছিল, দেশের জার্সিতে ও নিজের সেরাটা দেয় না। তাদেরকে যোগ্য জবাব দেওয়ার এটাই সেরা মঞ্চ। বুরুচাগা মনে করেন সেবারের পশ্চিম জার্মানির থেকে এই ফ্রান্স খুব এগিয়ে এমনটা মনে করার কারণ নেই।

তারা বিশ্বসেরা দল হলেও ফ্রান্সের দুর্বলতা আছে সেটা দেখিয়ে দিয়েছে তিউনিশিয়া এবং ইংল্যান্ড। তাই ফাইনালে ফ্রান্সের দুর্বল জায়গায় আঘাত করতে পারলে ৩৬ বছর পুরনো স্বপ্ন জেগে উঠতে পারে মারাদোনার দেশের। মেসি অমর হয়ে যেতে পারেন নীল সাদা জার্সিতে।