IPL 2023 Mini Auctions: কার কী দরকার? ২০২৩ আইপিএল নিলামে ১০ দলকে এই কাজগুলো করতেই হবে

কোচি: ২৩ ডিসেম্বর কোচিতে আইপিএলের নিলাম। সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন সেদিকেই। অংশ নেবে ১০টি দল। কে কত ভাল টিম সাজাতে পারে সেটাই এখন দেখার। ২০২৩ সালের মার্চের শেষ দিকে শুরু হবে আইপিএল টুর্নামেন্ট। তার আগে ১০ টিমের এটাই অগ্নিপরীক্ষা।

এ বছর মিনি নিলাম হবে। ক্রিকেটারদের বাছতে একদিনই সুযোগ পাবে টিমগুলো। ১০টি দল মোট ৮৭টি স্ল্যাব পাচ্ছে। এর মধ্যে ৫০ জন ভারতীয়, ৩০ বিদেশি এবং ৪০৫ জন খেলোয়াড়কে বেছে নিতে হবে। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকস, ২০২২ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট স্যাম কারান, অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনদের কোন টিম কেনে, সেদিকে নজর থাকবে ক্রিকেটপ্রেমীদের। কেন উইলিয়ামসন, ময়াঙ্ক আগরওয়াল, মণীশ পাণ্ডে এবং জেসন হোল্ডাররাও নিলামের বড় বাজি হতে চলেছেন। এবার ১০টা দলের কী কী প্রয়োজন দেখে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন– আইপিএল ২০২৩-এর মিনি নিলাম; কবে, কখন, কোথায় হবে? কোন ক্রিকেটারের বেস প্রাইজ কত, জেনে নিন

চেন্নাই সুপার কিংস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ২০.৪৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৭ (৫ ভারতীয়, ২ বিদেশি)। ২০২২-এর আইপিএল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভুলে যেতে চাইবে চেন্নাই সুপার কিংস। টুর্নামেন্টের মাঝপথে অধিনায়ক বদল, শীর্ষ স্থান হারানো, কিছুই তাদের পক্ষে যায়নি। তাই মিনি নিলামে তাঁরা নিজের গুছিয়ে নিতে চাইবে। চারবারের চ্যাম্পিয়ানদের সঙ্গে ডোয়েন ব্র্যাভো আর নেই। এই অলরাইন্ডারের বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে চেন্নাইকে। রবিন উথাপ্পা অবসর নেওয়ার পর দলে একজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানও চাই। মায়াঙ্ক আগরওয়াল এবং মণীশ পাণ্ডে ভাল বিকল্প হতে পারে।

দিল্লি ক্যাপিটালস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ১৯.৪৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৫ (৩ ভারতীয়, ২ বিদেশি)। দিল্লি ক্যাপিটালস মোটামুটি টিম গুছিয়ে নিয়েছে। তবে শার্দূল ঠাকুরের বিকল্প খুঁজে বের না করতে পারলে ভুগতে হবে। এবারের নিলামে এতেই ফোকাস করবে দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ। কেএস ভরতকে ছেড়ে দেওয়ার পর ঋষভ পন্থের ব্যাকআপ হিসেবে একজন ভারতীয় উইকেট কিপারও খুঁজে বের করতে হবে দিল্লিকে।

আরও পড়ুন– ‘বড় চোরের দায়িত্ব আমার উপর ছেড়ে দিন,’ কাঁথির সভায় বিস্ফোরক শুভেন্দু

গুজরাত টাইটানস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ১৯.২৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৭ (৪ ভারতীয়, ৩ বিদেশি)। অভিষেক মরশুমেই আইপিএল জিতে নিয়েছে গুজরাত টাইটানস। এবারও সেই দলকেই ধরে রেখেছে তারা। আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে থাকাটাই স্বাভাবিক। নিলামে তাদের উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। তবে ভাল করার আরও জায়গা রয়েছে। কোচ আশিস নেহরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, তাঁরা একজন ভাল পেসারের সন্ধান করছেন। ওপেনিং ব্যাটসম্যান ম্যাথিউ ওয়েডও কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারেননি।

কলকাতা নাইট রাইডার্স: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ৭.০৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ১১ (৮ ভারতীয়, ৩ বিদেশি)। ১১ টা স্লট বাকি আছে কিন্তু ক্রিকেটার কেনার পর্যাপ্ত টাকা নেই। এটাই বড় চিন্তার। তাদের স্মার্ট বিনিয়োগ খুঁজতে হবে। তবে শ্রেয়স আইয়ারের নেতৃত্বাধীন কেকেআর-এর জন্য সুখবর হল তাঁরা শার্দুল ঠাকুর, রহমানুল্লাহ গুরবাজ এবং লকি ফার্গুসনকে টিমে পেয়েছে। কিন্তু ভাল উইকেটকিপার না পেলে ভুগতে হতে পারে।

লখনউ সুপার জায়ান্টস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ২৩.৩৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ১৬ (৬ ভারতীয়, ৪ বিদেশি)। অভিষেক মরশুমেই প্লে অফে পৌঁছয় লখনউ সুপার জায়ান্টস। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কিছু নেই। একজন মার্কি অলরাউন্ডার দরকার। প্রয়োজন টপ অর্ডারে ভারতীয় ব্যাটসম্যান। আর বিদেশি পেসার।

মুম্বই ইন্ডিয়ানস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ২০.৫৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৯ (৬ ভারতীয়, ৩ বিদেশি)। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ফ্যাঞ্চাইজি মুম্বই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু শেষ টুর্নামেন্টে তারাই ছিল সবার শেষে। আগের গৌরব ফিরে পেতে তাদের যে প্রচুর খাটতে হবে বলাই বাহুল্য। কাইরন পোলার্ডের অবসরের পর একজন বিদেশি অলরাউন্ডার খুঁজে বের করাই অগ্রাধিকার হতে চলেছে। জসপ্রীত বুমরাহ এবং জোফ্রা আর্চারের ফিটনেস নিয়ে চিন্তা রয়েছে। তবে আরসিবি থেকে জেসন বেহরেনডর্ফকে সই করানোটা তাদের বড় বাজি। মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় সমস্যা নখদন্তহীন স্পিন বোলিং।

পঞ্জাব কিংস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ৩২.২০ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৯ (৬ ভারতীয়, ৩ বিদেশি)। পঞ্জাব কিংস বিশাল পার্স ভ্যালু, নতুন অধিনায়ক এবং কোচকে নিয়ে নিলামে নামবে। আগরওয়ালকে ছেড়ে দেওয়ায় অনেক টাকা এসেছে কিন্তু পরিবর্তে আরেকজন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান চাই। সঙ্গে চাই একজন বিদেশি অলরাউন্ডার এবং ফিনিশার।

রাজস্থান রয়্যালস: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ১৩.২০ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৯ (৫ ভারতীয়, ৪ বিদেশি)। রাজস্থান গত বারের রানার্স আপ। টিমে ভারসাম্য আছে। প্রত্যেক বিভাগেই রয়েছে সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু অলরাউন্ডারের অভাব ভোগাতে পারে। গত বারেও এই সমস্যা ছিল। মাঝে মধ্যে টপ অর্ডারে অশ্বিনকে ব্যাট হাতে নামতে হয়েছে। এবারে বিদেশি অলরাউন্ডারই তাঁদের অগ্রাধিকার হতে চলেছে।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ৮.৭৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ৭ (৫ ভারতীয়, ২ বিদেশি)। ব্যাট হাতে বিরাট কোহলি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেও গতবার তৃতীয় স্থানেই শেষ করতে হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে। দলে ভারসাম্য আছে। নিলামে তাদের খুব বেশি কিছু করার নেই। শুধু দলে একজন বাঁহাতি ওপেনার চাই।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: অবশিষ্ট পার্স ভ্যালু – ৪২.২৫ কোটি টাকা। অবশিষ্ট স্লট – ১৩ (৯ ভারতীয়, ৪ বিদেশি)। দলে চাই ভারতীয় টপ-অর্ডার ব্যাটসমান। দলে কোনও রিস্ট স্পিনার নেই। পেস বোলিং বিভাগ পুরো একা হয়ে যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রেও বিনিয়োগ করতে হবে। একজন উইকেট কিপারও চাই।