#প্যারিস: কাতার বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফুটবল খেলে দলকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। ৭ টি গোল করে পেয়েছেন সোনার বল। ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ২ টি গোল করেছেন তিনি, টাইব্রেকারেও একটি গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিন্তু আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে হারিয়ে দিয়েছে এটা মেনে নিতে পারছেন না ফরাসি সমর্থকদের একাংশ।
ফরাসি ক্লাব পিএসজির হয়ে খেলেন লিওনেল মেসি। এবার এক ফরাসি পানশালায় লিওনেল মেসির জার্সি পাপোশ হিসেবে রাখা হল। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পরে গেছে। টুইটারে ঐ ছবি প্রকাশ হয়েছে। পাপোশের পাশে চিহ্ন দিয়ে লেখা রয়েছে, ‘যখন প্রবেশ করবে, মনে করে পা মুছে প্রবেশ করবে।’
পাপোশ হিসেবে রাখা ঐ জার্সির চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, যারা ঐ পানশালায় আসছেন তারা কতৃপক্ষের কথা শুনছেন ও তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পিছপা হচ্ছেন না। অনেকেই মনে করছেন ফাইনাল ম্যাচে তার তিনটি গোল ফরাসি সমর্থকদের বিরাট অংশের মন ভেঙে দিয়েছে। তারই ফল এটি। সাত বারের ব্যালন ডি অর জয়ী মেসি বিশ্বকাপ ফাইনালের পর অবসর নেওয়ার ঘোষণা করলেও, বিশ্বকাপ জেতার পর খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
? | A bar owner in France have actually used Leo Messi’s Paris Saint-Germain jersey as a doormat after the World Cup final.
“Remember to wipe your feet when you enter,” reads the writing on a blackboard of one bar in France. pic.twitter.com/k0dDgMbAS1
— FACTS TV AFRICA (@q2022wc) December 22, 2022
চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী তিনি পিএসজির হয়ে এই মরসুমে খেলবেন। ফাইনালে তিনি এমবাপের বিরুদ্ধে খেললেও, পিএসজিতে তার সঙ্গেই খেলতে হবে। এর পাশাপাশি দলের বাকি সদস্য ও কোচিং স্টাফ সকলেই ফরাসি। এবার ফ্রান্সে আসলে তাকে ভালোভাবে স্বাগত জানানো হবে না বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ছবি দেখে অনেকেই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি কেনের পেনাল্টি মিসের পর ব্রিটিশ কোনো পানশালায় হ্যারি কেনের জার্সি একইভাবে ব্যবহার করা উচিত।
কটাক্ষ হয়েছেন সোনার বুট জয়ী এমবাপেও। আর্জেন্টিনা জয়ের পর তাদের দেশের সমর্থকরা প্যারেড করেন ও এমবাপের মুখ আছে এমন একটি কফিন তারা পুড়িয়ে দেন। সোনার গ্লাভস জয়ী আর্জেন্টিনার গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে ছাদখোলা একটি বাসে একটি ছেলে শিশুর মুখ যুক্ত খেলনাকে নিয়ে যেতে দেখা গেছে, যার মুখটি কিলিয়ান এমবাপের। তবে মেসিকে এভাবে অপমান করার ব্যাপারটা আবার অনেক ফরাসি ফুটবলপ্রেমী প্রতিবাদ করছেন।