মার্কিন এফ ১৮ নয়, ভারতীয় নৌসেনার সবুজ সংকেত ফরাসি রাফালকেই! শীঘ্রই ঘোষণা

#প্যারিস: ভারতীয় নৌ সেনার নতুন যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। চিন এবং পাকিস্তানকে মোকাবিলা করার ব্যাপারে শুধু সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী যথেষ্ট নয়। ভারতীয় নৌসেনাকেও কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমাতে ভারত বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছিল।

বিক্রান্ত এমন একটি যুদ্ধ জাহাজ যা সামুদ্রিক অঞ্চলে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজ চিনের পথ অবরোধ করতে যেমন শক্তিশালী, তেমনই অন্তত ৩০০ কিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকায় নিজের রাজত্ব বজায় রাখতে সক্ষম এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। চলতে শুরু করলে সেই এলাকার ব্যাপ্তি আরো অনেক বেশি।

আরও পড়ুন – রুশ মহিলাদের ভরসা এখন মেসির দেশ! আর্জেন্টিনায় জন্মাচ্ছে হাজার হাজার রাশিয়ান বাচ্চা

কিন্তু বিক্রান্ত যুদ্ধজাহাজের জন্য নৌ সেনার দরকার ছিল আধুনিক যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার নির্মিত মিগ ২৯ কে ফাইটার জেট কুড়ি বছর অতিক্রম করেছে। কাজ করলেও তাদের ধার কমে গিয়েছে অনেকটা। আর এই মুহূর্তে রাশিয়া নিজে যুদ্ধে জড়িত বলে বিমানের যন্ত্রাংশ সাপ্লাই করতে পারছে না ঠিকভাবে। তাই ২৬টি যুদ্ধবিমান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্সের রাফালের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেট।

দুটি বিমানকেই খতিয়ে দেখা হয়েছে। গোয়ার নৌ ঘাঁটিতে ট্রায়াল ভার্সন হিসেবে দেখা হয়েছে মার্কিন এবং ফরাসি ফাইটার দুটিকে। তার গোপন রিপোর্ট এক মাস আগেই জমা পড়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসে। সেখান থেকে যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মার্কিন বিমান। যদিও যুদ্ধজাহাজে ডানা মুড়ে ছোট করার ব্যাপারে কিছুটা সুবিধা ছিল এফ ১৮ বিমানের, বেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়েছিল।

কিন্তু গতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রাফাল। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষ অঞ্চলে হামলা চালাবার ক্ষেত্রে রাফালকে ধরতে পারা প্রায় দুঃসাধ্য। এর মূল কারণ ফরাসি বিমানের নীচে উড়তে পারার ক্ষমতা এবং নতুন সেন্সর টেকনোলজি।

এফ ১৮ একসঙ্গে ১২ টি ক্ষেপণাস্ত্র যেখানে নিয়ে যেতে পারে, সেখানে রাফাল বহন করতে পারে দশটি। কিন্তু এক জায়গা থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে রাফাল থেকে ছোড়া মিসাইল বেশি কিলোমিটার ভেতরে যেতে সক্ষম। মার্কিন বিমান যেখানে একসঙ্গে আটটি টার্গেট ঠিক করতে পারে, রাফাল সেখানে বারোটি টার্গেটে একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।

মার্চ মাসে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাকর ভারত সফরে আসবেন। সব ঠিক থাকলে সরকারিভাবে তখনই ঘোষণা হয়ে যাবে এই চুক্তির। উল্লেখ্য ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে এর আগেই ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান আছে। নৌসেনার এই ২৬ টি রাফাল টেকনোলজির ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। কিন্তু যন্ত্রাংশ এবং টেকনোলজি ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছর ভারতকে সাহায্য করবে ফ্রান্স।