Tag Archives: Indian Navy

Indian Navy-Cyclone Remal: ঘূর্ণিঝড় রিমলের ঝাপটায় তছনছ হওয়ার আশঙ্কা! কপ্টার, ত্রাণ নিয়ে প্রস্তুত ভারতীয় নৌবাহিনী

কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় রিমলের জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ঘূর্ণিঝড় রিমল বয়ে যাওয়ার পর একাধিক এলাকা যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনী প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু করে দিয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (SOPs) অনুসরণ করা হচ্ছে। হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড ডিসাসটার রিলিফ (HADR)-এর মতো দুর্যোগ ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

রিমল ঘূর্ণিঝড় আজ, রবিবার এবং সোমবার অর্থাৎ ২৬ মে এবং ২৭ মে মধ্য রাতে উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস। নৌ সদর দফতরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সদর দফতর থেকে পূর্ব নৌ কমান্ড সব পর্যবেক্ষণ করে প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ করছে।

আরও পড়ুন: বদলে গেল ল্যান্ডফলের জায়গা, প্রবল বিক্রমে সমুদ্রের উপর শক্তি বাড়িয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে সাইক্লোন, দিঘা থেকে মাত্র এতটুকু দূরে

সাগরের বুকে জন্ম হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমলের। বঙ্গোপসাগরের উপর থাকা গভীর নিম্নচাপ শনিবার রাতে শক্তি বৃদ্ধি করে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ক্রমে আরও শক্তি বৃদ্ধি করতে চলেছে রিমল। আজ, রবিবার সকালে পরিণত হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে।

সাগরদ্বীপ, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মধ্যে ল্যান্ডফল হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতির জন্য, ভারতীয় নৌবাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে অবিলম্বে মোতায়েন করার জন্য HADR এবং চিকিৎসা সামগ্রী দিয়ে সজ্জিত দু’টি জাহাজ প্রস্তুত করেছে।

সি কিং এবং চেতক হেলিকপ্টার এবং ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফ্টগুলি-সহ ভারতীয় নৌ বিমান চলাচলের সম্পদগুলি দ্রুত কাজ করার জন্য স্ট্যান্ডবাইতে রাখা হয়েছে।

সাহায্যে যাতে দেরি না হয়, তার জন্য ডাইভিং টিমগুলি কলকাতায় মোতায়েন করা হয়েছে। উপরন্তু প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম-সহ ডাইভিং টিম বিশাখাপত্তনমেও স্ট্যান্ডবাইতে রয়েছে, প্রয়োজনে দ্রুত মোতায়েন করার জন্য প্রস্তুত। দু’টি বন্যা ত্রাণ দল (এফআরটি), এইচএডিআর এবং চিকিৎসা সরবরাহ-সহ, কলকাতায় করছে। এছাড়াও, বিশাখাপত্তনম এবং চিল্কা থেকে দু’টি এফআরটি প্রস্তুত এবং খুব কম সময়ে কাজ করার জন্য স্ট্যান্ডবাই রয়েছে।

Indian Navy rescues Pakistani fishermen: জলদস্যুদের কবলে ২৩ জন পাকিস্তানি মৎস্যজীবী, বাঁচাল ভারতীয় নৌবাহিনী! আরব সাগরে রূদ্ধশ্বাস অভিযান

মুম্বই: আরব সাগরে সোমালি জলদসুদের হাত থেকে ২৩ জন পাকিস্তানি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করল ভারতীয় নৌবাহিনী৷ ১২ ঘণ্টা ধরে চলা রূদ্ধশ্বাস অভিযানের শেষে নিরাপদে ওই পাকিস্তানি মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করা হয়৷ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এই খবর জানানো হয়েছে৷

গতকাল ভোররাত থেকে এই অভিযান শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী৷ আইএনএস সুমেধা প্রথমে ছিনতাই হয়ে যাওয়া ট্রলার আল কম্বর নামে ওই মাছ ধরার ট্রলারটির পিছু নেয়৷ এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অভিযানে যোগ দেয় ক্ষেপনাস্ত্র বহনে সক্ষম আর একটি যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস ত্রিশূল৷

আরও পড়ুন: ?তৃণমূলকে হারাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই!?, কর্মিসভায় বিস্ফোরক দেব, দিলেন ব্যাখ্যাও

জানা গিয়েছে, শুক্রবার আপতকালীন বার্তায় সাড়া দিয়ে ইরানের ওই মাছ ধরার ট্রলারটিকে ধাওয়া করে৷ আরব সাগরে সকরটা থেকে প্রায় ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ পশ্চিমে থাকাকালীন অবস্থায় ওই মাছ ধরার ট্রলারটি ছিনতাই হয়৷ ৯ জন সশস্ত্র জলদস্যু ওই ট্রলারটির দখল নেয়৷

নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনওরকম রক্তপাত ছাড়াই সোমালি জলদস্যুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করে৷ এ মাসে এই নিয়ে দ্বিতীয় অভিযানে সফল ভাবে জলদস্যুদের হাত থেকে মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করল৷ সেবারে ৩০ জন জলদস্যুকে কাবু করে ১৭ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে

মার্কিন এফ ১৮ নয়, ভারতীয় নৌসেনার সবুজ সংকেত ফরাসি রাফালকেই! শীঘ্রই ঘোষণা

#প্যারিস: ভারতীয় নৌ সেনার নতুন যুদ্ধ জাহাজ আইএনএস বিক্রান্ত চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি। চিন এবং পাকিস্তানকে মোকাবিলা করার ব্যাপারে শুধু সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী যথেষ্ট নয়। ভারতীয় নৌসেনাকেও কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনের দাদাগিরি কমাতে ভারত বেশ কয়েক মাস ধরে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছিল।

বিক্রান্ত এমন একটি যুদ্ধ জাহাজ যা সামুদ্রিক অঞ্চলে ভারতীয় নৌসেনার শক্তি বাড়িয়েছে দ্বিগুণ। আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজ চিনের পথ অবরোধ করতে যেমন শক্তিশালী, তেমনই অন্তত ৩০০ কিলোমিটার সামুদ্রিক এলাকায় নিজের রাজত্ব বজায় রাখতে সক্ষম এক জায়গায় দাঁড়িয়ে। চলতে শুরু করলে সেই এলাকার ব্যাপ্তি আরো অনেক বেশি।

আরও পড়ুন – রুশ মহিলাদের ভরসা এখন মেসির দেশ! আর্জেন্টিনায় জন্মাচ্ছে হাজার হাজার রাশিয়ান বাচ্চা

কিন্তু বিক্রান্ত যুদ্ধজাহাজের জন্য নৌ সেনার দরকার ছিল আধুনিক যুদ্ধবিমান। রাশিয়ার নির্মিত মিগ ২৯ কে ফাইটার জেট কুড়ি বছর অতিক্রম করেছে। কাজ করলেও তাদের ধার কমে গিয়েছে অনেকটা। আর এই মুহূর্তে রাশিয়া নিজে যুদ্ধে জড়িত বলে বিমানের যন্ত্রাংশ সাপ্লাই করতে পারছে না ঠিকভাবে। তাই ২৬টি যুদ্ধবিমান বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে ফ্রান্সের রাফালের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিল মার্কিন এফ এ ১৮ সুপার হর্নেট।

দুটি বিমানকেই খতিয়ে দেখা হয়েছে। গোয়ার নৌ ঘাঁটিতে ট্রায়াল ভার্সন হিসেবে দেখা হয়েছে মার্কিন এবং ফরাসি ফাইটার দুটিকে। তার গোপন রিপোর্ট এক মাস আগেই জমা পড়েছিল ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অফিসে। সেখান থেকে যা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মার্কিন বিমান। যদিও যুদ্ধজাহাজে ডানা মুড়ে ছোট করার ব্যাপারে কিছুটা সুবিধা ছিল এফ ১৮ বিমানের, বেশি অস্ত্র নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়েছিল।

কিন্তু গতি এবং আধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ার ফেয়ার প্রযুক্তিতে অনেক এগিয়ে রাফাল। অর্থাৎ যুদ্ধের সময় প্রতিপক্ষ অঞ্চলে হামলা চালাবার ক্ষেত্রে রাফালকে ধরতে পারা প্রায় দুঃসাধ্য। এর মূল কারণ ফরাসি বিমানের নীচে উড়তে পারার ক্ষমতা এবং নতুন সেন্সর টেকনোলজি।

এফ ১৮ একসঙ্গে ১২ টি ক্ষেপণাস্ত্র যেখানে নিয়ে যেতে পারে, সেখানে রাফাল বহন করতে পারে দশটি। কিন্তু এক জায়গা থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে হামলা চালানোর ক্ষেত্রে রাফাল থেকে ছোড়া মিসাইল বেশি কিলোমিটার ভেতরে যেতে সক্ষম। মার্কিন বিমান যেখানে একসঙ্গে আটটি টার্গেট ঠিক করতে পারে, রাফাল সেখানে বারোটি টার্গেটে একসঙ্গে হামলা চালাতে সক্ষম।

মার্চ মাসে ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাকর ভারত সফরে আসবেন। সব ঠিক থাকলে সরকারিভাবে তখনই ঘোষণা হয়ে যাবে এই চুক্তির। উল্লেখ্য ভারতীয় বিমানবাহিনীর কাছে এর আগেই ৩৬ টি রাফাল যুদ্ধবিমান আছে। নৌসেনার এই ২৬ টি রাফাল টেকনোলজির ক্ষেত্রে কিছুটা আলাদা। কিন্তু যন্ত্রাংশ এবং টেকনোলজি ট্রান্সফার করার ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ বছর ভারতকে সাহায্য করবে ফ্রান্স।

ভারতের সমুদ্রের সিকন্দর রোমিওর ছবি প্রকাশ করল লকহিড মার্টিন

#নয়াদিল্লি: ভারতের সামরিক ইতিহাস দেখতে গেলে আজ পর্যন্ত এদেশের সবচেয়ে বড় পার্টনার ছিল রাশিয়া। এখনও রয়েছে। মিগ, সুখই থেকে একে ৪৭ রাইফেল, এমআই ৩৫ অ্যাটাক হেলিকপ্টার, রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল ছিল ভারত।

এখনও এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম রাশিয়া থেকে পাওয়ার কথা ভারতের। অস্ত্রশস্ত্র বা টেকনোলজি আদান প্রদানের ক্ষেত্রে তারপর কিছুটা উল্লেখ করতে হবে ফ্রান্স এবং ইজরায়েলের কথা। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ভারতের সামরিক পার্টনার হিসেবে বড় ভূমিকা পালন করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বোইং নির্মিত অ্যাপাচে হেলিকপ্টার হোক বা এম ৭৭৭ কামান, সিগ রাইফেল হোক বা এফ ফিফটিন এক্স নিয়ে আলোচনা, রাশিয়ার একচেটিয়া বাজারে এখন ভাগ বসিয়েছে মার্কিনিরা। এই তালিকায় রাখতে হবে চিনুক হেলিকপ্টারকেও।

ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অ্যাডভান্সড মেরিটাইম হেলিকপ্টার এম এইচ ৬০ রোমিওর ছবি প্রকাশ করল লকহিড মার্টিন। মোট ২৪ টি হেলিকপ্টারের অর্ডার দিয়েছিল ভারত। পরের বছরের শুরুর দিকেই নৌবাহিনীর কাছে এই হেলিকপ্টারের সাপ্লাই শুরু হয়ে যাবে। যেভাবে ভারত মহাসাগরে নিজের আধিপত্য বাড়িয়েছে চিন, তার পাল্টা দিতে এই হেলিকপ্টার অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল ভারতের। শুধু আক্রমণ করাই নয় প্রয়োজনে রোমিও উদ্ধার কার্য চালাতেও পারে।

সমুদ্রে সাইলেন্ট কিলার নামে পরিচিত এই হেলিকপ্টার। জলের নীচে লুকিয়ে থাকা সাবমেরিন হোক বা শত্রুপক্ষের জাহাজ, রোমিওর আক্রমণ থেকে নিস্তার নেই কারও। ৭:২ ব্যারেল গান ছাড়াও অত্যাধুনিক হেলফায়ার এবং ৫৪ টর্পেডো মিসাইল লোড করা যায় এই কপ্টারে। একসঙ্গে তিনটি টার্গেট এনগেজ করার ক্ষমতা রয়েছে। অত্যাধুনিক ককপিট, আটটি সেন্সর এবং আধুনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম থাকায় আক্রমণ চালানোর পাশাপাশি শত্রুপক্ষের রাডারকেও ফাঁকি দিতে সিদ্ধহস্ত এই মার্কিন হেলিকপ্টার।চিনের নৌসেনা পৃথিবীর বৃহত্তম। জাহাজ, ফ্রিগেট, ডেস্ট্রয়ার মিলিয়ে আমেরিকার থেকেও তাদের বেশি সংখ্যক অস্ত্র রয়েছে।

এছাড়াও পাকিস্তানকে আধুনিকতম ৮ টি সাবমেরিন দিতে চলেছে চিন। লক্ষ্য ভারতকে চারদিক দিয়ে ঘেরা। ভারতের হাতে সমুদ্র থেকে আক্রমণ চালানোর জন্য রাশিয়ার তৈরি মিগ ২৯ কে বিমান রয়েছে। কিন্তু তার কার্যকারিতা নিয়ে মাঝে মাঝে নিজেরাই সন্দেহ প্রকাশ করেন নৌ বাহিনীর লোকজন। কথাবার্তা ঠিকঠাক এগোলে রাশিয়ান বিমানগুলোকে অবসরে পাঠিয়ে মার্কিন এফ ১৮ হর্নেট আসতে পারে নৌবাহিনীর ডেরাতে। রোমিওর সবচেয়ে বড় সুবিধা নৌবাহিনীর জন্য নেওয়া হলেও প্রয়োজনে বিমান বাহিনী এমনকি সেনাবাহিনীও তা ব্যবহার করতে পারবে।

Rohan Roy Chowdhury