দেশে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বলিউডে তো আরওই। বিয়ে বা সম্পর্ক ভাঙা যেন সেখানে রোজকার ব্যাপার। হৃতিক-সুজান, সইফ-অমৃতা, আমির-রিনা, আমির-কিরণ তালিকা অনেক লম্বা। আবার উল্টো নজিরও কম নেই। শাহরুখ-গৌরী বা অনুপম-কিরণের দীর্ঘ দাম্পত্যের উদাহরণও হাতের কাছেই রয়েছে।বলিউডে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। বহু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে, বিচ্ছেদ হতে চলেছে অভিষেক বচ্চন এবং ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের। তারকা-দম্পতির নাকি ছাদ আলাদা হয়েছে বহুদিন। তবে প্রকাশ্যে কেউই সিলমোহর দেননি বিবাহবিচ্ছেদের গুজবে।বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মাঝে হঠাৎ অভিষেকের জীবনে আর এক নারীর অস্তিত্ব নিয়ে চর্চা। সহ-অভিনেত্রী নিমরত কৌরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা নেহাত কম নয়।নিমরতের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের গুঞ্জনের মাঝেই ফের ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের পুরনো এক সাক্ষাৎকারের অংশ। সেখানে ঐশ্বর্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের ১৫ বছরের দাম্পত্য নিয়ে প্রশংসা করা হয়েছিল। অভিনেতাও বেশ উৎফুল্লই ছিলেন।তখনই নিমরত খানিক তির্যক সুরে বলেন, “আজকাল বিয়ে এতদিন টেকে না।” সহ-অভিনেত্রীর এহেন মন্তব্যে অপ্রস্তুত হয়েই তাঁকে ধন্যবাদ জানান অভিষেক। নিমরতের মনে হয়, অভিষেক বুঝি তাঁকে ভুল বুঝলেন। নিজের বক্তব্য আরও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “আমি কিন্তু প্রশংসাই করলাম।”বলিউডের পোড় খাওয়া অভিনেত্রী ঐশ্বর্য। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা তাঁর। এতে বড় সুবিধা হয়েছে বলে মনে করেন অভিষেক। তিনি বলেন, “ঐশ্বর্য জানেন কখন আমার পাশে দাঁড়াতে হবে। আর কখন একা ছেড়ে দিতে হবে। দীর্ঘ অভিজ্ঞতার কারণে খুব সহজেই সবটা বুঝে যান। আমি ভাগ্যবান, এমন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসাবে পেয়েছি। আমার জন্য সব কিছু সহজ হয়ে গিয়েছে।”অভিষেক এবং ঐশ্বর্য ২০০৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন। তাঁদের একটি মেয়েও আছে। আরাধ্যা। তবে নিমরতের সঙ্গে অভিষেকের রসায়নকেই ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণ বলে অনুমান করছেন অনুরাগীরা।
