ভুবনেশ্বর: ওড়িশায় ‘দানা’র হানায় এখনও বিধ্বস্ত এলাকা। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব অনেকাংশে কমেছে। তবে এর প্রভাব এখনও ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে রয়েছে। তবে, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় দানার সময় আরও এক আতঙ্ক মাথাচারা দিয়েছে ওড়িশায়। সেটা হল সাপ! এত সাপ কোথা থেকে এল বুঝতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দারা।
সাপের ছোবল খেয়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ সংশয় দেখা গিয়েছে অনেকের। ১৩ জন মহিলা-সহ ২৮ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জানান মোহন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন এক চিকিৎসকও।
রাজ্যের ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পরিস্থিতির মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক এবং বালাসোর জেলায় সাপের উপদ্রব ব্যাপক ভাবে বেড়েছে। মোহন জানান, সাপের ছোবলে আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে আশেপাশের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসার পর তাঁদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, “আহত ডাক্তারকে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।” ডাঃ বাবুল মোহান্তি মলত্যাগ করতে গিয়েছিলেন যখন, তখনই তাঁকে সাপে কামড়ায় বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন-আবহাওয়ার আশ্চর্য খেল…! ‘দানা’র জন্যই দিল্লির এই অবস্থা? বাংলায়ও পড়ছে প্রভাব, দেখুন!
ঘূর্ণিঝড়ের সময় মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য মোহান্তিকে কেন্দ্রপাড়া জেলার মহাকালপাড়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (পিএইচসি) ট্রান্সফার করা হয়েছিল। পিএইচসিতে চিকিৎসাকর্মীদের জন্য টয়লেট ছিল না, তাই ডক্টর মোহন্তি ২৫ অক্টোবর সকালে মলত্যাগ করতে বেরিয়েছিলেন তখনই বিপত্তি। সাপের ছোবলবিরোধী ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এর পর তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।