বিনোদন Bollywood Gossip: ঝগড়া কেন? ঐশ্বর্যর কথা থামিয়ে যা বলে উঠলেন অভিষেক, মাটিতে লুটিয়ে গেল বচ্চন পরিবারের সম্মান, তাহলে কি এবার সব শেষ? Gallery July 21, 2024 Bangla Digital Desk অভিষেক ঐশ্বর্য বলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় দম্পতি। ২০০৭-র, ২০ এপ্রিল এ তাঁদের বিয়ে হয়। তাঁদের ১৪ বছরের মেয়ে রয়েছে, আরাধ্যা। এখন তাঁদের মধ্যে বিচ্ছেদের গুঞ্জন প্রবল৷ জল্পনা, এই দম্পতির ১৭ বছরের দাম্পত্যে এমন চিড় ধরেছে যা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্রের খবর। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে দু’জনেই একসঙ্গে রেড কার্পেটে উপস্থিত হওয়া এড়িয়ে গেছেন। দু’জনেই এই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন, তবে তাঁদেক একসঙ্গে দেখা যায়নি। এর পরে, ইনস্টাগ্রামে বিবাহবিচ্ছেদের পোস্টে লাইক দিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের জল্পনা ছড়িয়ে দেন অভিষেক বচ্চন নিজে। তাদের পোস্টটি লাইক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জল্পনা আরও তীব্র হয়েছিল যে ১৭ বছরের দাম্পত্য অত্যন্ত কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে৷ যে কোনও সময় বিবাহ বিচ্ছেদের ঘোষণা করতে পারেন এই দম্পতি। তবে এই নিয়ে একেবারে চুপ অভিষেক-ঐশ্বর্য৷ আসলে, দীর্ঘদিন ধরেই অভিষেক ও ঐশ্বর্যের সম্পর্কের টানাপোড়েনের খবরের শিরোনামে। এক সাক্ষাৎকারে দু’জনেই স্বীকার করেছেন যে তাদের মধ্যে মতান্তর রয়েছে৷ ২০১০ সালে এই দম্পতি ‘ভোগ ইন্ডিয়া’ ম্যাগাজিনে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় একটি ঘটনা ঘটেছিল। তাঁদের প্রথম দেখা থেকে বিয়ে পর্যন্ত অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলেছেন তাঁরা। দুজনেই জানিয়েছিলেন কীভাবে তাদের বিয়েটা খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের প্রশ্ন করা হয়, কতবার তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়? সঙ্গে সঙ্গে ঐশ্বর্য উত্তর দেন, যে প্রায় প্রতিদিন হয়। তারপরই অভিষেক স্পষ্ট করেন যে এটা ঠিক ঝগড়া নয়, একে অপরের কথায় একমত না হয়ে ঘটে মতান্তর৷ যাকে তিনি স্বাস্থ্যকর ঝগড়া বলে বর্ণনা করেন৷ তিনি আরও বলেন যে যদি এটি না ঘটে তবে এটি দাম্পত্যের মজা থাকবে না৷ এই কথোপকথনে তিনি আরও বলেছিলেন যে ঐশ্বরিয়া যদি কখনও তার কথায় রাজি না হন এবং রেগে যান তবে তিনিই প্রথম তাঁর কাছে ক্ষমা চান। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি সর্বদা প্রথমে ক্ষমা চাই কারণ বেশিরভাগ মহিলারা তা করেন না। অভিষেক বলেন যে তিনি নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চান৷ ফলে তিনি ঝগড়ার পর ক্ষমা চেয়ে নিয়ে শান্তিতে ঘুমোন! ফিল্মফেয়ারের সঙ্গেও একটি সাক্ষাৎকারে ঐশ্বর্য স্বীকার করেছিলেন যে একজন দক্ষিণ ভারতীয় হওয়ার ফলে উত্তর ভারতীয় বিয়ের অনেক আচার-অনুষ্ঠান সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। বিশেষ করে রোকার নিয়ম তিনি জানতেন না৷ তিনি বলেছিলেন যে রোকার আচার এত দ্রুত হয়েছিল যে তিনি কী করবেন বুঝতে পারছিলেন না। বচ্চন পরিবার থেকে তাঁদের বাড়িতে ফোন আসে যে তাঁরা দ্রুত আসবেন রোকার অনুষ্ঠানের জন্য৷ সেই সময় তাঁর বাবা ছিলেন শহরের বাইরে৷ ফলে ঐশ্বর্যের রোকা অনুষ্ঠানে তাঁর বাবা থাকতে পারেননি৷ যার স্মৃতি অভিনেত্রীর জন্য খুবই কষ্টকর বলে তিনি জানান৷ তবে তাঁর বিয়ের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল খুবই বিশেষ এবং স্মরণীয়। তিনি প্রতিটি মুহূর্ত খুব উপভোগ করেছেন। বিয়ের আগে তাঁরা একে অপরের বন্ধু ছিলেন। তাঁরা একে অপরকে দীর্ঘদিন ধরে চিনি। তাঁরা সবসময় অনেক কথা বলেছি এবং সবকিছু নিয়ে কথা বলি। এমনটাই জানান সুন্দরী৷