Anant Ambani-Radhika Merchant Wedding: পশুদের প্রতি ভালবাসা অগাধ…! গ্রিন এনার্জির পৃষ্ঠপোষক, রইল হবু বর অনন্ত আম্বানির না জানা অনেক কথা

মুম্বই: আজ সব নজর অনন্ত আম্বানির দিকে। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ও সমাজসেবী নীতা আম্বানির কনিষ্ঠ পুত্র।  ১২ জুলাই এনকোর হেলথকেয়ার প্রাইভেট লিমিটেডের সিইও বীরেন মার্চেন্ট ও উদ্যোক্তা শায়লা মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন অনন্ত।

অনন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের এনার্জি ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইনচার্জ। তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, জিও প্ল্যাটফর্মস লিমিটেড, রিলায়েন্স রিটেইল ভেঞ্চারস লিমিটেড, রিলায়েন্স নিউ এনার্জি লিমিটেড এবং রিলায়েন্স নিউ সোলার এনার্জি লিমিটেডের বোর্ডে পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন এবং সেপ্টেম্বর ২০২২ থেকে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের বোর্ডে রয়েছেন।

রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের এনার্জি ও মেটেরিয়াল ব্যবসার সম্প্রসারণ এবং নবায়নযোগ্য ও গ্রিন এনার্জির গ্লোবাল অপারেশন পরিচালনা করেন অনন্ত। তিনি ২০৩৫ সালের মধ্যে রিলায়েন্সকে নেট কার্বন জিরো কোম্পানিতে পরিণত করার লক্ষ্য নিয়েছেন।

আরও পড়ুন- কিমকে দেখে হুড়োহুড়ি মুম্বই বিমানবন্দরে, কী করলেন হলিউড তারকা?

অনন্ত পশুপ্রেমী। প্রাণী সংরক্ষণ, উদ্ধার, পুনর্বাসন এবং বন্য প্রাণীর স্বাস্থ্যসেবায় নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। পশুদের প্রতি তাঁর ভালবাসা প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠানেও দেখা গিয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল জামনগরে আম্বানিদের পশু উদ্ধার কেন্দ্র বনতারায়।

বনতারা-র জমকালো উদ্বোধনের পর নিউজ 18-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনন্ত আম্বানি বলেছিলেন, এই উদ্যোগের মূলে রয়েছে সনাতনের প্রতি বিশ্বাস। কারণ প্রত্যেক দেবতারই বাহন কোনও না কোনও প্রাণী। পাশাপাশি প্রাণী কল্যাণের এই উদ্যোগের পিছনে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার ইচ্ছাও রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন অনন্ত।

বনতারা হল প্রাণী উদ্ধার, যত্ন, সংরক্ষণ এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি কমপ্লেক্সের গ্রিন বেল্টে ৩ হাজার একরেরও বেশি জায়গায় গড়ে উঠেছে বনতারা। সারা বিশ্বের ৪৩ প্রজাতির ২ হাজারের বেশি প্রাণী উদ্ধার করে রাখা হয়েছে এখানে।

নিউজ 18-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অনন্ত বলেন, “আমরা সবাই জানি সনাতনে (ধর্ম) প্রত্যেক দেবতার হৃদয়ের কাছাকাছি রয়েছে একটি করে প্রাণী। সেটা হল তাঁর বাহন। ঋগ্বেদেও কৃষ্ণ বলেছেন, সকল জীবন সমান, সে মানুষ হোক বা মৌমাছি কিংবা পিঁপড়ে। এখানে (বনতারা) আমরা ব্যাঙ থেকে ইঁদুর সব কিছুর (প্রাণীর) যত্ন নিই”।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আম্বানিদের বাসভবন অ্যান্টিলিয়ায় এক ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানে অনন্ত ও রাধিকার বাগদান হয়। পাশাপাশি দুর্দান্ত সঙ্গীত ও হলদি অনুষ্ঠানের পর ১২ জুলাই জিও ওয়ার্ল্ড কনভেনশন সেন্টারে গাঁটছড়া বাঁধবেন তাঁরা। ১২ জুলাই ‘শুভ বিবাহ’ বা মূল বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনন্ত-রাধিকার চার হাত এক হবে। অনুষ্ঠানের ড্রেস কোড চিরাচরিত ভারতীয় পোশাক। ১৩ জুলাই ‘শুভ আশীর্বাদ’, নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করবে আম্বানি ও মার্চেন্ট পরিবার। এই দিন ভারতের আনুষ্ঠানিক পোশাকের ড্রেস কোড রাখা হয়েছে। ১৪ জুলাই ‘মঙ্গল উৎসব’ বা বিয়ের রিসেপশন, জমকালো ভারতীয় পোশাক পরার অনুরোধ করা হয়েছে অতিথিদের।