১২ জুলাই ‘শুভ বিবাহ’ বা মূল বিবাহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনন্ত-রাধিকার চার হাত এক হল। অনুষ্ঠানের ড্রেস কোড ছিল চিরাচরিত ভারতীয় পোশাক। ১৩ জুলাই ‘শুভ আশীর্বাদ’, নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করে আম্বানি ও মার্চেন্ট পরিবার। এই দিন ভারতের আনুষ্ঠানিক পোশাকের ড্রেস কোড রাখা হয়েছে। ১৪ জুলাই ‘মঙ্গল উৎসব’ বা বিয়ের রিসেপশন, জমকালো ভারতীয় পোশাক পরার অনুরোধ করা হয়েছে অতিথিদের।

Anant-Radhika Wedding: ‘ইটস অফিশিয়াল’…আলো-রোশনাই-রূপকথার বিয়ে…সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অনন্ত-রাধিকা

মুম্বই: প্রতীক্ষার অবসান। সাতপাকে বাঁধা পড়লেন অনন্ত-রাধিকা। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবের উপস্থিতিতে শুক্রবার, ১২ জুলাই মুম্বইয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্ট। রোশনাইয়ে ঝলমল বিয়ের আসরে হাজির গোটা বিশ্বের ‘হেভিওয়েট’-রা। উপচে পড়েছে গোটা বলিউড।

তিন দিনব্যাপী এই বিবাহ উৎসবের প্রথম দিন বিয়ে। ১৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে শুভ আশীর্বাদ (আশীর্বাদের অনুষ্ঠান), ১৪ জুলাই মঙ্গল উৎসব বা বিয়ের রিসেপশন।

২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর রাজস্থানের নাথদ্বারার শ্রীনাথজি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল অনন্ত-রাধিকার রোকা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই আম্বানি পরিবারের হবু পুত্রবধূ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন রাধিকা। এই রোকার পরেই একটি জমকালো পার্টির আয়োজন হয়েছিল অ্যান্টিলিয়াতে। যোগ দিয়েছেন বি-টাউনের বহু তারকা।

২০২৩ সালের ১৯ জানুয়ারি অ্যান্টিলিয়াতে ঘনিষ্ঠদের উপস্থিতিতে আঙটি বদল করেন অনন্ত এবং রাধিকা। ওই অনুষ্ঠানে অনন্ত আম্বানি পরেছিলেন উজ্জ্বল নীল রঙা কুর্তা-পাজামা এবং গাঢ় রঙের জ্যাকেট। রাধিকা বেছে নিয়েছিলেন একটি জমকালো সোনালি লেহেঙ্গা।

অনন্ত এবং রাধিকার জন্য তিন দিনব্যাপী একটি জমকালো প্রি-ওয়েডিং অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল আম্বানি পরিবার। হাজির ছিলেন ভিভিআইপি-রা। বিশেষ পারফরম্যান্স ছিল রিহানা এবং সির্ক দি সোলেইয়ের। অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল বনতারা পরিদর্শন এবং ম্যাজিক্যাল ড্রোন শোয়ের।

অনন্ত-রাধিকার বিয়ের অংশ ছিল রাধিকার ব্রাইডালশাওয়ার। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ছবিতে দেখা গিয়েছে, নিজের গার্ল গ্যাঙের সঙ্গে ব্রাইডাল শাওয়ারের আনন্দে মেতেছেন রাধিকা মার্চেন্ট। একটি ছবিতে অন্যান্য ব্রাইডসমেইডদের সঙ্গে দেখা গিয়েছে জাহ্নবী কাপুরকেও। ফ্লোরাল থিমের সাজসজ্জার সঙ্গে জাহ্নবী বেছেছিলেন একটি গোলাপি রঙা পোশাক। অন্যান্যরা পরেছিলেন সিল্কের শার্ট এবং পাজামা। হবু কনে রাধিকার পরনে ছিল আইভরি রঙা লাউঞ্জওয়্যার সেট।

অনন্ত-রাধিকার প্রি-ওয়েডিং উদযাপনের আরেকটি বড় অংশ ছিল গণবিবাহর আয়োজন।সমাজের জন্য কিছু করার লক্ষ্যে শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি এবং তাঁর স্ত্রী নীতা আম্বানি নভি মুম্বইয়ে একটি গণবিবাহের আয়োজন করেছিলেন। সমাজের প্রায় সমস্ত সুবিধা থেকে বঞ্চিত পরিবারগুলি থেকে আসা ৫০ জোড়া ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয়েছে ওই অনুষ্ঠানে। নবদম্পতিদের জন্য উপহারের তালিকায় ছিল সোনার গয়না যেমন নাকছাবি, বিয়ের আংটি, মঙ্গলসূত্র। সেই সঙ্গে ছিল রুপোর পায়ের আংটি এবং নূপুরও। এই গণবিবাহের সাক্ষী থাকতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় ৮০০ মানুষ। নতুন কনেদের প্রত্যেককে স্ত্রীধন হিসেবে দেওয়া হয়েছে ১.০১ লক্ষ টাকাও। এখানেই শেষ নয়, নবদম্পতিদের নতুন সংসারের জন্য মুদিখানার সামগ্রী এবং ঘরকন্নার সামগ্রীও উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছিল। উপহারের তালিকায় ছিল অ্যাপলায়েন্সও। এই বিবাহের পরে অতিথিদের জন্য এলাহি খানাপিনার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল পশ্চিম ভারতের আদিবাসী ওয়ারলি উপজাতির ঐতিহ্যবাহী তরপা নাচের আয়োজনও।