Waqf Act on Asset

Assets: সব সম্পত্তি খতিয়ে দেখা হবে, ওয়াকফ আইনে বদল আনতে চলেছে মোদি সরকার, শীঘ্রই বিল পেশ সংসদে

কলকাতা: ওয়াকফ আইন পরিবর্তন করতে চলেছে মোদি সরকার। এর ফলে ওয়াকফ বোর্ডের একচ্ছত্র ক্ষমতা অনেকটাই খর্ব হতে পারে। সূত্র এমনটাই সিএনএন-নিউজ 18-কে জানিয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ওয়াকফ আইনের প্রায় ৪০টি সংশোধনী অনুমোদন করেছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ড যে সব সম্পত্তি নিজেদের বলে দাবি করে, এবার থেকে তা যাচাই করে দেখা হবে। একইভাবে ওয়াকফ বোর্ডের বিতর্কিত সম্পত্তিগুলির জন্যও যাচাই বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে ওয়াকফ আইন সংশোধনী বিল পেশ করা হতে পারে সংসদে।

ওয়াকফ বোর্ডের হাতে বর্তমানে প্রায় ৮.৭ লক্ষের বেশি সম্পত্তি রয়েছে। যা প্রায় ৯.৪ লক্ষ একরের সমান। ২০১৩ সালে মূল আইন সংশোধন করে ওয়াকফ বোর্ডকে একচেটিয়া ক্ষমতা দিয়েছিল তৎকালীন ইউপিএ সরকার। প্রসঙ্গত, ১৯৯৫ সালে চালু হয়েছিল ওয়াকফ অ্যাক্ট। ‘ওয়াকিফ’ দ্বারা ‘আওকাফ’ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এই আইন প্রণয়ন করা হয়। এর আওতায় যে কোনও ব্যক্তি ধর্মীয় বা দাত্যব্য উদ্দেশ্যে সম্পত্তি দান করতে পারেন।

আরও পড়ুন: ১০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ! পরিবেশরক্ষার্থে ২০২৪-এ বিপুল টার্গেট পূর্বরেলের

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় ওয়াকফ কাউন্সিল ও রাজ্য বোর্ডগুলিতে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব দেওয়া প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলির অন্যতম লক্ষ্য। সূত্রের কথায়, “মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড ও হরিয়ানার আসন্ন নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সংশোধনীগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।’’ কেন্দ্রীয় সরকার আগেই রাজ্য ওয়াকফ বোর্ডগুলির যে কোনও সম্পত্তিকে নিজেদের বলে দাবি করার ক্ষমতা এবং এই জাতীয় সম্পত্তির সমীক্ষায় বিলম্বের কথাও উল্লেখ করেছিল। পাশাপাশি সম্পদের অপব্যবহার রোধে ওয়াকফ সম্পত্তি পর্যবেক্ষণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের দায়িত্ব দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।

সূত্র জানিয়েছে, আপিল প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলিও খতিয়ে দেখছে সরকার। যেমন ধরা যাক, ওয়াকফ বোর্ডের কোনও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের কাছে আপিল করা হয়েছে। কিন্তু এই ধরণের আপিল নিষ্পত্তির কোনও সময়সীমা নেই। ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ারও নিয়ম নেই। এবার সেই নিয়মেও বদল আনতে পারে সরকার। উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৩০টি ওয়াকফ বোর্ড রয়েছে।