জ্যোতিষকাহন Shani Mahadasha: ঢাইয়া, সাড়ে সাতির চেয়েও মারাত্মক, শনি মহাদশাতে নেমে আসে সর্বনাশের ঘন কালো ছায়া Gallery August 23, 2024 Bangla Digital Desk শনির মহাদশা শুনছেন? অত্যন্ত ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে শনির মহাদশা৷ Photo- Representative শনি মহারাজ কর্মের ফলদায়ক দেবতা৷ শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়া কোনও জাতক- জাতিকার জীবনকালে একাধিকবার প্রভাব বিস্তার করে৷ এটি প্রতিটি ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতেই উপস্থিত হয়। একই ভাবে শনি মহাদশাও আসে। শনির মহাদশা পর্বে একজন জাতক বা জাতিকা সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়ার চেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। এই সময়ে, একজন জাতক- জাতিকা প্রবল কষ্ট পান এবং বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হন। শনিদেবের মহাদশাকে আরও বিপজ্জনক ও বেদনাদায়ক হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ একদিকে শনির সাড়ে সাতির প্রভাব সাত বছর স্থায়ী হয় অন্যদিকে ঢাইয়ার প্রভাব আড়াই বছর স্থায়ী হয়। অন্যদিকে, শনি মহাদশার সময়কাল মারাত্মক দীর্ঘ৷ এর কুপ্রভাব ১৯ বছর স্থায়ী হয়। এমন অবস্থায় যাঁর উপর শনির মহাদশায় থাকেন তাঁরা দীর্ঘকাল রোগভোগ করেন৷ শনি মহাদশার কারণে ব্যক্তির খ্যাতির জায়গায় বড় আঘাত আসে৷ অর্থ নষ্ট হয়, অপমানের শিকার হতে হয়, মানসিক চাপ বৃদ্ধি পায়, তর্ক-বিতর্ক হয়, মূল্যবান জিনিসপত্র হারিয়ে যেতে পারে বা চুরি যেতে পারে৷ বৈদিক জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই সমস্ত সমস্যা শনি মহাদশার লক্ষণ বলে মনে করা হয়। তবে এর পাশাপাশি শনি মহাদশার প্রভাব কমানোর ব্যবস্থার কথাও বলেন জ্যোতিষবিদরা। শনির মহাদশা চললে শনিবার পিপল গাছ বা অশ্বত্থ গাছের নিচে সরিষার তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে তিনবার প্রদক্ষিণ করুন। এছাড়াও শনিদেবের বীজ মন্ত্র ১০৮ বার জপ করুন। শনিবার শনিদেব সম্পর্কিত কালো রঙের জিনিস যেমন- উরদ ডাল বা বিউলির ডাল, জামাকাপড়, কম্বল, কালো তিল, সরষাের তেল ইত্যাদি গরীব বা দুঃস্থদের দান করতে হবে। এই কাজগুলি করলে শনি মহাদশার প্রভাব হ্রাস পায়।