আষাঢ় মাসে কৃষ্ণপক্ষ হবে ১৩ দিনের, দ্বাপর যুগে মহাভারতের সময়ের যোগ তৈরি হচ্ছে, বড় ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষীর

আষাঢ় মাসে কৃষ্ণপক্ষ হবে ১৩ দিনের, দ্বাপর যুগে মহাভারতের সময়ের যোগ তৈরি হচ্ছে, বড় ভবিষ্যদ্বাণী জ্যোতিষীর

অভিষেক জয়সওয়াল, বারাণসী: দ্বাপর যুগে মহাভারতের সময় ১৩ দিনে একপক্ষ হয়েছিল। আবার কলিযুগে মহাভারতের সময়ের সেই যোগ তৈরি হচ্ছে। বিক্রম সংবত ২০৮১ অনুযায়ী, আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষ ১৩ দিনের হবে। জ্যোতিষ শাস্ত্রে একে দুর্যোগ কাল বলা হয়। এই সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেশি হয় বলে মনে করা হয়। বলে রাখা ভাল, এবার কয়েকশো বছর পর এমন কাকতালীয় ঘটনা ঘটছে।

কাশীর জ্যোতিষী পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায় জানিয়েছেন যে বিক্রম সম্বত ২০৮১-তে ২৩ জুন ২০২৪ থেকে ২১ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত হবে আষাঢ় মাস। এই সময়কালে কৃষ্ণপক্ষ মাত্র ১৩ দিন স্থায়ী হবে।

আরও পড়ুন– চেন্নাইয়ের সঙ্গে ডু অর ডাই ম্যাচে RCB-কে কত রানে জিততে হবে? বিরাটদের প্লে অফে ওঠার সমীকরণ দেখে নিন

মাত্র ১৩ দিনের কৃষ্ণপক্ষ: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, এবার আষাঢ় মাসে কৃষ্ণপক্ষ ২৩ জুন থেকে শুরু হচ্ছে, যা চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। এরপর ৬ জুলাই থেকে শুরু হবে আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষ, যা চলবে ২১ জুলাই পর্যন্ত। এই কৃষ্ণপক্ষে দ্বিতীয়া ও চতুর্থী – এই দুটি তিথি কমেছে। এই কারণে এই কৃষ্ণপক্ষ মাত্র ১৩ দিন স্থায়ী হবে। এই ধরনের সংমিশ্রণ বহু শতাব্দী ধরে ঘটে এবং একে বলা হয় বিশ্ব রাষ্ট্রপক্ষ।

আরও পড়ুন- মাত্র ৩ বছর বয়সে নাচে হাতেখড়ি, স্কুলে পড়াকালীনই এসেছিল কাজের সুযোগ; নিজের ভুবনভোলানো হাসি ছড়িয়ে আজও ভক্তদের মনে রাজত্ব এই ‘চিরসবুজ’ অভিনেত্রীর

ধনসম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে: পণ্ডিত সঞ্জয় উপাধ্যায়ের দাবি, মহাভারতের যুদ্ধের আগেও দুর্যোগের এমন একটি সময় এসেছিল। যেখানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রাণনাশ এবং ধনসম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে এবারও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে গোটা বিশ্বে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ বাঁধার সম্ভাবনাও রয়েছে।

একপক্ষ মানে ১৫ দিন: এখানে বলে রাখা ভাল, হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, প্রতি মাসে দুটি পক্ষ রয়েছে। যা কৃষ্ণপক্ষ এবং শুক্লপক্ষ নামে পরিচিত। ১৫ দিনে এক পক্ষ হয়। অর্থাৎ মাসের ৩০ দিনে দুই পক্ষ। অনেক সময় তিথির হানি হওয়ার কারণে ১৪ দিনে পক্ষ হতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ১৩ দিনে পক্ষ সাধারণত হয় না। এবার সেটাই হতে চলেছে। এর ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)