মেসি নির্ভরতা কাটিয়ে ওঠায় খুশি কোচ, অস্ট্রেলিয়ার ফিজিক্যাল ফুটবলের মোকাবিলায় তৈরি আর্জেন্তিনা

#দোহা: ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মাতৃভূমির জয়ের কামনায় গলা ফাটানো সার্থক। লিও মেসি পেনাল্টি নষ্ট করলেও পোল্যান্ডের বাধা টপকানো গিয়েছে সহজে। সবচেয়ে বড় কথা, প্রথম দু’টি ম্যাচের তুলনায় বুধবার অনেক বেশি সংঘবদ্ধ মনে হয়েছে আর্জেন্তিনাকে। মেসি নির্ভরতা কাটিয়ে উঠতে পারাই এই সাফল্যের চাবিকাঠি। রোজারিও থেকে আসা জর্জ তাই আনন্দে আত্মহারা।

বললেন, টিম হিসেবে খেলল স্কালোনির দল। এবার আমাদের থামানো মুশকিল।
অঙ্কের খাতা না উল্টে নক-আউটে পৌঁছনোর জন্য পোল্যান্ডের বাধা পেরতেই হতো আর্জেন্তিনাকে। তাই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল মেলে ধরে স্কালোনি-ব্রিগেড। এটাও বলা যায় যে, অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক হয়ে বিপক্ষের হাতে ম্যাচের রাশ তুলে দেয় পোল্যান্ড।

গোলরক্ষক সেজনি প্রথমার্ধে পাঁচটি সেভ না করলে ওয়ারশয়ের টিকিট কাটতে হতো লিওয়ানডস্কিদের। ৩৬ মিনিটে মেসির স্পটকিক বাঁদিকে শরীর ছুঁড়ে রোখেন বিপক্ষ গোলরক্ষক। কিন্তু এরপর আর্জেন্তিনার আক্রমণের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। প্রথমার্ধে গোল না পেলেও বিরতির পর থামানো যায়নি দু’বারের চ্যাম্পিয়নদের।

৪৭ মিনিটে মলিনার পাস থেকে লক্ষ্যভেদ অ্যালিস্টারের। এরপর ৬৮ মিনিটে আলভারেজের গোল। শুধু তাই নয়, শেষপর্বে প্রাপ্ত সুযোগ লাওতারো মার্তিনেজরা কাজে লাগাতে পারলে পোল্যান্ডের লজ্জা আরও বাড়ত। ৩ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে পৌঁছেছেন মেসিরা। রাউন্ড অব সিক্সটিনে তাঁদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। সেই বাধা পেরলে শেষ আটে আর্জেন্তিনার জন্য অপেক্ষা করছে সম্ভবত নেদারল্যান্ডস।

ম্যাচ শেষে সেরার পুরস্কার অ্যালিস্টারের হাতে তুলে দেন মেসি। স্বপ্নের নায়কের থেকে স্বীকৃতি পেয়ে আপ্লুত পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম গোলদাতা। আর্জেন্টিনার কোচ মনে করছেন বেশ কয়েকজন ফুটবলার ইতিমধ্যেই স্কোরিং তালিকায় নাম তুলে ফেলার কারণে আর্জেন্টিনার গোল পাওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমেছে।

এই দলে মেসি ছাড়া বাকিরাও গোল করতে সক্ষম সেটা প্রমাণিত। তবে নকআউটের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ছোট করে দেখার জায়গা নেই জানিয়ে দিয়েছেন মেসিদের কোচ।