লাইফস্টাইল Banana: ভারতের কোন শহরকে ‘কলার শহর’ বলা হয় বলুন তো? চমকে দেওয়া ‘নাম’! Gallery July 26, 2024 Bangla Digital Desk কথায় বলে “রোজ একটি কলা ডাক্তারকে আপনার থেকে দূরে রাখে” – এই কথাটি আপেলের মতোই কলার ক্ষেত্রেও একই রকম সত্যি। কলা পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে। আজ এই প্রতিবেদনে এই কলা নিয়েই শেয়ার করা হল কিছু দুর্দান্ত স্বাস্থ্য উপকারিতা ও মজাদার তথ্য। সাধারণ জ্ঞান যেমন দেশ বিদেশের তথ্য আহরণে সাহায্য করে। ইতিহাস ও বিজ্ঞানের নানা নতুন দিক জানা যায় তেমনই এরই পরতে পরতে লুকিয়ে আছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছোট বড় খুঁটিনাটি যা আমাদের জীবন ও স্বাস্থ্যকে আরও ভাল করে পরিচালনা করতে সাহায্য করে। আজ এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু তথ্য তুলে ধরা হল। কলা তো আমাদের চেনা ফল। দাম কম হওয়ায় ফলের বাজারে আলাদা গুরুত্ব না পেলেও কলা খান কম বেশি প্রায় সকলেই। কিন্তু জানেন কী এই ফলের শহর কোন শহরকে বলা হয়? মহারাষ্ট্রের ‘জলগাঁও’ শহরটি ‘কলার শহর’ বা ‘বানানা সিটি’ নামে পরিচিত। কারণ এখানে প্রতি হেক্টরে প্রায় ৭০ টন কলা চাষ করা হয়। যা মহারাষ্ট্রের মোট কলা উৎপাদনের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। দিনে মোট ক’টি কলা খাওয়া উচিত?দিনে কতগুলি কলা খাওয়া উচিত বা খাওয়া উচিত নয় তার কোনও নির্দিষ্ট সংখ্যা নেই। তবে প্রতিদিন ১-২ টি কলা শরীরের জন্য যথেষ্ট বলে মনে করা হয়। কলায় দ্রবণীয় ফাইবার, ফ্রুক্টোজ, বেশি কার্বোহাইড্রেট এবং কম পরিমাণে জল থাকে। সেই কারণে কলা বেশি পরিমাণে খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে। পুষ্টিবিদ অঞ্জু সুদ জানিয়েছেন কলা দিনে যখন তখন খাওয়া ঠিক নয়৷ নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে কলা৷ তাঁর মতে, কলা আম্লিক৷ প্রচুর পটাশিয়াম আছে কলায়৷ সকালে কলা খাওয়া ভাল, কিন্তু খালি পেটে নয়৷ সহজপাচ্য ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলটি খাওয়া কেন জরুরি জানেন? বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে জেনে নেওয়া যাক কলা কীভাবে আমাদের তরুণ রাখতে সাহায্য করে এবং এর অন্যান্য উপকারিতাই বা ঠিক কী? শক্তি মাত্রা বৃদ্ধি:কলায় রয়েছে প্রাকৃতিক চিনি, যা শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। এছাড়াও, এতে উপস্থিত পটাশিয়াম ক্লান্তি এবং পেশীর ক্র্যাম্প কমাতে সাহায্য করে। কলায় ভাল পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে সুষ্ঠুভাবে চলতে সাহায্য করে । এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও প্রতিরোধ করে। কলাতে পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ উপাদান রয়েছে যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এতে কোলেস্টেরল থাকে না, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজন। হাড় মজবুত করে:কলাতে ম্যাঙ্গানিজ এবং ফ্রুক্টুলিগোস্যাকারাইড থাকে যা হাড়ের গঠনে সাহায্য করে এবং হাড় মজবুত করে। মস্তিষ্ককে তীক্ষ্ণ করে:কলায় রয়েছে ভিটামিন বি৬, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড সেরোটোনিন উৎপাদনে সহায়ক, যা মন ভাল রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর:কলায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এটি কোষগুলিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং ত্বকের বলিরেখা কমায়। এককথায় কলা যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিকর একটি ফল। নিয়মিত কলা খেলে আপনি সুস্থ তরতাজা ও প্রাণবন্ত থাকতে পারেন। তবে শুধু কলা খেলেই যে তরুণ থাকবেন তা নয়। সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এবং ভাল ঘুম সমান গুরুত্বপূর্ণ। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য, জীবন ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।