প্যারিস: টাকা থাকলেই সাফল্য আসবে এমন নয়। জলজ্যান্ত উদাহরণ পিএসজি। মঙ্গলবার রাতে নিজেদের ঘরের মাঠে হেরে গেল পৃথিবী অন্যতম দামি ফুটবল দল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ম্যাচে শুরু থেকেই ছিলেন লিওনেল মেসি ও নেইমার। বিরতির পর তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন চোট নিয়ে আলোচনায় থাকা কিলিয়ান এমবাপ্পেও। কিন্তু এই তিন তারকা মিলেও পারেননি ঘরের মাঠে পিএসজিকে হার থেকে বাঁচাতে।
শেষ ষোলোর প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছে জার্মান চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেছেন কিংসলে কোমান। চলতি আসরে শতভাগ জয়ের ধারা ধরে রাখল বায়ার্ন। গ্রুপ পর্বে ছয় ম্যাচের সবগুলো জিতেছিল তারা। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের হারিয়ে খোঁজা পিএসজি সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা তিন ম্যাচে হারের তেতো স্বাদ পেল।
শুরু থেকে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণেও এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। যদিও প্রথম উল্লেখযোগ্য পায় তারা ৩০তম মিনিটে। কোমানের ক্রসে দূরের পোস্টে এরিক মাক্সিম চুপো-মোটিংয়ের হেড লক্ষ্যে থাকেনি। বিরতির আগে বক্সের সামনে থেকে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক প্রতিহত হয় রক্ষণে। প্রথমার্ধে গোলের জন্য এই একটি শটই কেবল নিতে পারে পিএসজি।
Kingsley Coman scores the match-winner in Paris ?
Free highlights from #PSGFCB ?
— FC Bayern Munich (@FCBayernEN) February 14, 2023
যেখানে এই সময়ে বায়ার্নের ১০ শটের দুটি লক্ষ্যে ছিল। দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে গোলটি পায় বায়ার্ন। আলফুঁস ডেভিসের ক্রসে ডি-বক্সে কোমানের ভলি ঠেকানোর মতোই ছিল, ঝাঁপিয়ে পড়া দোন্নারুম্মার হাত ছুঁয়ে বল জালে জড়ায়। গোল হজমের একটু পর কার্লোস সলেরকে তুলে কিলিয়ান এমবাপেকে নামান পিএসজি কোচ। এরপর বায়ার্নের ওপর চাপ বাড়ায় পিএসজি।
৭৩তম মিনিটে এমবাপে জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি। চার মিনিট পর মার্কিনিয়োসের হেড ঠেকান গোলরক্ষক ইয়ান সমের। ৮২তম মিনিটে আবার জালে বল পাঠান এমবাপে, তবে আক্রমণের শুরুতে সামান্য ব্যবধানে অফসাইডে ছিলেন নুনো মেন্দেস। দুই মিনিট পর মেসির প্রচেষ্টা প্রতিহত হয় ডিফেন্ডার পাভার্দের পায়ে।