লাইফস্টাইল Beauty Care: পার্লারে গাদাগাদা খরচ নয়, এই তিন সহজ-সস্তা উপাদানে মাত্র ৭ দিনে মিলিয়ে যাবে ত্বকের দাগছোপ, সান-ট্যান,বলিরেখা, জেনে নিন ব্যবহারের নিয়ম Gallery September 5, 2024 Bangla Digital Desk প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা সবসময় কার্যকর বলে বিবেচিত হয়েছে। এখানে বিদ্যমান প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদানের সাহায্যে বিভিন্ন ভাবে চর্মরোগের চিকিৎসা হচ্ছে। হলুদ, কেওড়ার জল এবং নিমের পেস্ট এমনই এক বিস্ময়কর ওষুধ, যা দাগ ও বলিরেখা দূর করতে এক্সপার্ট। বিশেষজ্ঞ রাজকুমার, যিনি গত ১০ বছর ধরে সৌন্দর্য পণ্য এবং ঔষধি উদ্ভিদ নিয়ে কাজ করছেন, বলেন হলুদে কারকিউমিন নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। চর্মরোগের চিকিৎসায় হলুদ প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কেওড়ার জল শুধু ত্বককে হাইড্রেট করে না, শীতলতাও দেয়। এর অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্য ত্বকে লুকিয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে, যার ফলে ব্রণ এবং অন্যান্য সংক্রমণ কম হয়। নিম তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটি ত্বককে গভীর ভাবে পরিষ্কার করে এবং ত্বকের সমস্যা যেমন দাগ, বলিরেখা এবং ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। রাজ কুমার বলেছেন, চরক সংহিতায় হলুদ, কেওড়া জল এবং নিমের পেস্ট তৈরি ও ব্যবহারের পদ্ধতির বিশদ বর্ণনা রয়েছে। আমরা খুব সহজেই ঘরে বসেও এটি বানাতে পারেন। প্রথমে তাজা নিম পাতা ভাল করে জলে ধুয়ে নিতে হবে এবং তারপর পিষে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এবার একটি পাত্রে হলুদের গুঁড়ো, নিমের পেস্ট এবং কেওড়ার জল মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি মুখে বা যেখানে দাগ বা বলিরেখা রয়েছে, সেই সব জায়গায় লাগাতে হবে। পেস্টটি ২০-৩০ মিনিটের জন্য মুখে শুকোতে দিতে হবে, তারপরে হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ভাবে নিয়মিত সাত দিন লাগাতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পেস্ট টানা সাত দিন ব্যবহার করলে ত্বকের দাগ ও বলিরেখায় স্পষ্ট পার্থক্য দেখা যায়। হলুদ এবং নিমের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য ত্বককে পুনরুজ্জীবিত করে।