ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নামলেন যুবক, তক্কে তক্কে ছিল জিআরপি, ব্যাগ খুলতেই সবাই অবাক

ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নামলেন যুবক, তক্কে তক্কে ছিল জিআরপি, ব্যাগ খুলতেই সবাই অবাক

বেগুসরাই: রুটিন চেক আপের সময় বড় সাফল্য। বেগুসরাই স্টেশন থেকে ধৃত এক ব্যক্তির ব্যাগ থেকে উদ্ধার হল ৬৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা। ধৃতের নাম নীতীশ কুমার। তিনি পটনা জেলার মারাঞ্চির বাসিন্দা। জিজ্ঞাসাবাদে নীতীশ কুমার জানিয়েছেন, এই টাকা তাঁর নয়। তাঁর এক আত্মীয়ের। তিনি তেঘরা থানার পিধৈলির বাসিন্দা অনুরাগ কুমার। ধৃত জানান, অনুরাগ সিকিউরিটি এবং কনস্ট্রাকশনের ব্যবসা করেন। সুরক্ষার কারণেই তিনি আত্মীয়ের মাধ্যমে এই টাকা আনিয়েছেন।

আরও পড়ুন– নেশার ঘোরে মাত্র ‘১০৫ টাকা’ দিয়ে কিনেছিলেন শস্যের গোলা; এখন সেটাই হয়ে উঠেছে এক দম্পতির সাধের আস্তানা

জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ট্রেন নম্বর 22233 NGP-পটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বেগুসরাই রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে জিআরপি তল্লাশি অভিযান শুরু করে। ওই সময় ট্রলি ব্যাগ নিয়ে ট্রেন থেকে নামেন এক ব্যক্তি। জিআরপি-র সন্দেহ হয়। আটক করা হয় ব্যক্তিকে। শুরু হয় তল্লাশি। ট্রলি ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে অফিসারদের। ব্যাগে থরে থরে সাজানো টাকা। পরে গুণে দেখা যায় মোট ৬৭ লাখ ২৮ হাজার টাকা রয়েছে।

আরও পড়ুন– উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠতেই বিপত্তি, একেবারে হাতেনাতে ধরলেন টিকিট পরীক্ষকরা; তারপর…

বেগুসরাই জিআরপি-র তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মদের ব্যবসা রোধে পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত চালানো হচ্ছে। সেই জন্যই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থামতেই স্টেশনে অভিযান চালায় জিআরপি। তখনই আটক করা হয় নীতীশ কুমারকে। বর্তমানে আয়কর দফতরকেও বিষয়টি জানিয়েছে জিআরপি। অভিযুক্ত নীতীশ কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে আয়কর দফতর। তাহলেই বোঝা যাবে এত বিশাল অঙ্কের টাকা কোথা থেকে এল।

আয়কর দফতরের আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন: বেগুসরাই জিআরপি স্টেশনের ইনচার্জ সুশীল কুমার ভার্মা বলেন, ‘‘১৬ মে এনজিপি-পটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বেগুসরাই স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ায়। তল্লাশি চালানোর জন্য উপর থেকে নির্দেশ ছিল। ঠিক তখনই এক ব্যক্তি ট্রলি ব্যাগ হাতে ট্রেন থেকে নামেন। তাঁর ব্যাগে তল্লাশি চালিয়ে ৬৭ লাখ টাকা পাওয়া গিয়েছে। টাকার বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কোনও সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এমনকী, কোনও কাগজপত্রও দেখাতে পারেননি। এরপর সঙ্গে সঙ্গে আয়কর আধিকারিকদের খবর দেওয়া হয়। বিষয়টা নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন আয়কর কর্মকর্তারা।’’