অভিদীপ্তা আবাসনে বঙ্গ মেজাজে বর্ষবরণ

চৈত্রশেষের রাতে ‘চন্দ্রবিন্দু’-হত…! অভিদীপ্তা আবাসনে বঙ্গ মেজাজে বর্ষবরণ, মেধায়-সুরে আট থেকে আশির ‘মন’ ছুঁয়ে দিল বাংলা ব্যান্ড 

কলকাতা: খটখটে গরম। হাওয়ার লেশ মাত্র ছিল না। ৩৩-৩৪ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে সেলসিয়াসের পারদ। এল নিনো দাপট আর চেনা চৈত্রের চালচিত্র ঠিক যেমন ছিল গত কয়েকদিন। আকাশে কোথাও যেন একটা মেঘ আছে, কিন্তু বৃষ্টি নেই। তবুও সেজে উঠেছিল অভিদীপ্তা আবাসন।

সবুজ-নীল-বেগুনি রং চুইয়ে পড়েছিল আকাশছোঁয়া বাড়িগুলোর দেওয়াল থেকে। গোটা আবাসন চত্বর যেন হঠাৎ এক অচেনা ক্যানভাস। আলো জ্বলেছিল। মঞ্চ তৈরি ছিল। আর সন্ধ্যা নামতেই একটু একটু করে ভরে গিয়েছিল চেয়ারগুলো। আর তারপরের দুটো ঘণ্টা যেন ম্যাজিক। অদ্ভুত এক ইন্দ্রজালে মাতিয়ে দিল ‘চন্দ্রবিন্দু’। হাওয়া দিয়েছিল শিরশিরানি, হাওয়া দিয়েছিল ডানা…

বাংলা ব্যান্ডের গানের জগতে পা রেখে নয় নয় করে আড়াই দশক ছুঁয়ে ফেলেছে নিজেদের স্বাতন্ত্র রাখা গানের দল চন্দ্রবিন্দু। ‘চন্দ্রবিন্দু’ মানেই গানের কথায় বুদ্ধির ঝলক, লিরিক্স জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হালকা ফুলকা সারক্যাজম, আবার চন্দ্রবিন্দু মানেই কলেজ জীবনের নস্ট্যালজিয়া, মধ্যবিত্ত ভীরু প্রেমের মন কেমন। মঞ্চে উপল অনিন্দ্য আর বাকি চন্দ্রবিন্দুদের যোগ্য সঙ্গতে মিনিট দশেকেই ছুমন্তর! মন্ত্রমুগ্ধ অভিদীপ্তা।

 

‘দুধ না খেলে হবে না ভাল ছেলে’ শুনে কখনও দস্যিপনা ছেড়ে নাচে-নাটুকেপনায় আদর কেড়ে নিল খুদের দল আবার কখনও সোহাগের সাম্পানে ভেসে গেল এক আদরের নৌকো… গলা মেলালেন ষাটোর্দ্ধরাও। ‘বন্ধু চল থেকে সুইটহার্ট কার কার যে হৃদয় বিঁধল গুনে বলা বড় মুশকিল। ‘ভিনদেশী তারা’র ‘মৌন মুখর প্রেম’ একুশ তলার অদেখা তরুণীকেও কী ভাবে ছুঁয়ে গেল..? ঠিক কোন জাদুকাঠিতে…? টের পাওয়া গেল না।

সবমিলিয়ে চন্দ্রবিন্দুর গানের বৃষ্টিধারায় ভিজে বর্ষবরণের ষোলো কলা পূর্ণ মন নিয়ে নববর্ষ ১৪৩১ এর ‘শুভ’ সকালের নতুন শুরুর স্বপ্ন বুকে ঘুমোতে গেল অচেনা এক উৎসবমুখী অভিদীপ্তা।