জ্যোতিষকাহন Bhoot Chaturdashi 2024: রাত পোহালেই ভূত চতুর্দশী, এদিন কেন খায় ১৪ শাক? কেন জ্বালানো হয় ১৪ প্রদীপ? আসল তাৎপর্য জানুন Gallery October 29, 2024 Bangla Digital Desk *ভূত চতুর্দশীতে কেন চোদ্দ শাক খায়? ভূত চতুর্দশীর দিনের কী গুরুত্ব জানেন কি? আজ ভূত চতুর্দশী পৌরাণিক তথ্য অনুযায়ী নরকাসুরকে এই দিনে কৃষ্ণ এবং সত্যভামা বধ করেছিলেন। সংগৃহীত ছবি। *পুরাণ অনুসারে বলা হয়, ভূত চতুর্দশীর রাতে শিবভক্ত রাজা মহাবলি (দানব রাজা) মানুষের কাছ থেকে পুজো গ্রহণের জন্য পৃথিবীতে নেমে আসেন, সঙ্গে থাকে তার অনুচর ভূতেরা। চতুর্দশী তিথির পূর্ণিমায় চারিদিক অন্ধকার। সেই অন্ধকারে রাজা মহাবলির পরিচারকদের ঘরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার জন্য প্রাচীনকালে প্রদীপের আলো জ্বালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সংগৃহীত ছবি। *বাঙালির সংস্কার সংস্কৃতি ও পরমপরায় ভূত চতুর্দশীর প্রথা দীর্ঘকালের। কালীপুজোর আগের দিনটিকে ভূত চতুর্দশী হিসেবে ধরা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই অন্ধকার রাতের প্রাক্কালে, মৃত পূর্বপুরুষের আত্মা তাঁদের প্রিয়জনকে দেখতে পৃথিবীতে নেমে আসেন। সংগৃহীত ছবি। *ভাবা হয়, পরিবারের ১৪ প্রজন্মের পূর্বপুরুষের আত্মা তাঁদের জীবিত আত্মীয়দের সঙ্গে মিলিত হতে মর্তে আসেন, তাই এ দিন ১৪ প্রদীপ বাড়ির চারপাশে বিশেষত অন্ধকার জায়গায় জ্বালানো হয় যাতে সেই সব আত্মা তাঁদের বাড়ির দিকে পরিচালিত হতে সাহায্য পান এবং বিশেষ করে দুষ্ট আত্মা বিতাড়িত হন। সংগৃহীত ছবি। *প্রতিটি অন্ধকার কোণ আলোয় আলোকিত করা হয়। ভূত, পিশাচ, প্রেত থেকে বাঁচতে ও অশুভ শক্তিকে তাড়াতে ১৪ প্রদীপ জ্বালানোর রীতি। সংগৃহীত ছবি। *রীতি অনুসারে, হিন্দুদের ঘরে খাওয়া হয় ১৪ রকমের শাকও। ১৪ শাকের মধ্যে থাকে ওল, ভাটপাতা, কেঁউ, শৌলফ, শাঞ্চে, কালকাসুন্দে, পলতা, বেতো, সরষে, নিম, গুলঞ্চ, শুশনি, হিলঞ্চ বা হিঞ্চে, জয়ন্তী। সংগৃহীত ছবি। *ভূত চতুর্দশীতে এই ১৪ রকম শাক খাওয়ার পিছনে আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও। আশ্বিন ও কার্ত্তিক মাসকে যম দশ্টা কাল বলে। বৈজ্ঞানিক মতে, ঋতু পরিবর্তনের জন্য এই সময় নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ (ভাইরাল জ্বর) করে থাকে। ১৪ শাক খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। আবার হেমন্তের শুরুতে নানারকম পোকার উপদ্রব হয়। তা থেকে রক্ষা পেতেই শাক খাওয়া জরুরি। সংগৃহীত ছবি। *১৪ রকমের শাক খেয়ে দিনটি পবিত্রভাবে পালন করে সন্ধ্যায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে প্রদীপ জ্বলে ওঠে বাঙালির ঘরে ঘরে। সংগৃহীত ছবি।