বি-টাউন আসলে জাঁকজমক-জৌলুষ আর গ্ল্যামারের দুনিয়া। অথচ এই জৌলুষের পিছনেই থাকে অন্ধকার আর বিতর্ক। তবে কিছু স্ক্যান্ডাল এমন ছিল, যা তারকাদের কেরিয়ারও শেষ করে দিয়েছে। বলিউডে এমন ভয়ঙ্কর ৭টি স্ক্যান্ডালের কথা আজকের প্রতিবেদনে শুনে নেওয়া যাক।১. বলিউডের প্রতিশ্রুতিশীল অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শাইনি আহুজা। ‘গ্যাংস্টার’ এবং ‘উয়ো লমহে’-র মতো ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে ২০০৯ সালে তাঁর বিরুদ্ধে গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয় এবং দোষী সাব্যস্তও হন শাইনি। সেই ঘটনার জেরে তাঁর কেরিয়ার থমকে গিয়েছিল।২. এক খবরের চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে ধরা পড়েছিলেন শক্তি কাপুর। উঠতি অভিনেত্রী সেজে এক সাংবাদিক ওই অপারেশনটি চালিয়েছিলেন। দেখা যায়, অভিনেত্রীরূপী ওই সাংবাদিককে তিনি কাস্টিং কাউচের ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা বলছেন। এই ভিডিও জাতীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার হতেই ভাবমূর্তি নষ্ট হয়ে যায় অভিনেতার।৩. বলিউডে ভাল ভাবেই কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ফারদিন খান। কিন্তু মাদক রাখার অপরাধে কেরিয়ারে ভরাডুবি হয়েছিল তাঁর। ২০০১ সালে কোকেন রাখার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন ফারদিন খান। খবর জানাজানি হতেই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে যায় অভিনেতার।৪. টেলিভিশন এবং বলিউডি দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখ আমন ভার্মা। কাস্টিং কাউচ স্ক্যান্ডালে তাঁর কেরিয়ারও ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছে। ২০০৫ সালে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা গিয়েছিল যে, ছবিতে সুযোগ করে দেওয়ার নাম করে এক উঠতি অভিনেত্রীর কাছ থেকে যৌন সুযোগ চাইতে দেখা গিয়েছিল আমনকে।৫. নব্বইয়ের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি। গ্ল্যামারাস লুক আর সাহসী ভূমিকায় অভিনয় করে জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন। তবে মাদক পাচার কাণ্ডে জড়িয়ে তাঁর কেরিয়ারের ভরাডুবি হয়। ২০১৬ সালে কেনিয়ার ২০ মিলিয়ন ডলারের মাদক পাচার কাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে নাম উঠে এসেছিল মমতা এবং তাঁর স্বামীর।৬. অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুতে নাম জড়িয়েছে অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি এবং অভিনেত্রী জরিনা ওয়াহাবের পুত্র সুরজ পাঞ্চোলির। এর জেরে কেরিয়ার রীতিমতো শেষ হয়ে গিয়েছিল সুরজের। ২০১৩ সালে নিজের অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় জিয়াকে। আর জিয়ার আত্মহত্যায় অভিযোগ উঠেছিল সুরজের বিরুদ্ধে। আইনি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাঁকে।৭. নব্বইয়ের দশকে মণিকা বেদীর কেরিয়ারর উত্থান হচ্ছিল ধীরে ধীরে। কিন্তু কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন আবু সালেমের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল তাঁর। ২০০২ সালে ভুয়ো কাগজপত্র নিয়ে পর্তুগালে প্রবেশ করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় মণিকা আর আবুকে। সেই সময়ই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। আর গ্রেফতারির পরে মণিকার ভাবমূর্তি পুরোপুরি ভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
