কণ্ঠে অসীম প্রেম তাঁর। রূপে যেন দেবদূত। সুরে আবেগের ছড়াছড়ি। সেই গায়কের ভক্ত কে নয়? ৯০-এর দশকে চুটিয়ে হিন্দি ছবির গানে প্লেব্যাকও করেছেন।তবে তাঁর নিজস্ব গানের অ্যালবামও যে পরিমাণ হিট, তাতে তাঁকে কেবল নেপথ্য গায়ক বলে কম বলা হয়।আজ তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন। কিন্তু দেশের বিভিন্ন কোণায় কোণায় কনসার্ট অথবা একা সমুদ্র পাড়ে বসে গান গেয়ে যান। কিন্তু একা কেন? আসলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সিনেমার চিত্রনাট্য থেকে কিছু কম নয়।মোট তিনটি বিয়ে। একটিও টেকেনি। তবে তিনি নিজের মুখে স্বীকার করেছেন, ঠিক একটি বিয়ে করে সংসার করার মতো মানুষ তিনি নন। তিনি মনে করেন, একইসঙ্গে একাধিক মানুষকে একই গভীরতায় ভালবাসতে পারেন তিনি।কিন্তু তাঁর এই জীবনধারার সঙ্গে শেষমেশ কোনও নারীই মানিয়ে নিতে পারেননি। তাই বারবার ডিভোর্সের সম্মুখীন হয়েছেন। তবে এখনও সন্তানদের সঙ্গে তাঁর সুন্দর সম্পর্ক। স্ত্রীদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখেছেন।তিনি লাকি আলি। ১৯৯৬ সালে নিউজিল্যান্ডের মডেল মেগান জেন ম্যাকক্লিয়ারিকে বিয়ে করেন লাকি। বিয়ের পর নিজের আইকনিক গান, ‘ও সানাম’-এর মিউজিক ভিডিওতে স্ত্রীকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছিলেন।দম্পতির দু’টি সন্তান, তাওউজ এবং তাসমিয়াহ। তাঁদের বিয়ের প্রথম থেকেই লাকি তার স্ত্রীকে স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন, তিনি কেবল এক নারীর সঙ্গে জীবনযাপন করতে চান না। ২০০০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়।ডিভোর্সের আগেই পার্সিয়ান বংশোদ্ভূত অনাহিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয় লাকির। মেগান যখন নিউজিল্যান্ডে ছিলেন, সেই সময়ই প্রেম হয় তাঁদের। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্সের বছরেই বিয়ে করেন লাকি। এই জুটিরও দুই সন্তান, সারা এবং রায়ান।২০১০ সালে প্রাক্তন ব্রিটিশ মডেল কেট এলিজাবেথ হ্যালামের সঙ্গে লাকি তৃতীয়বার বিয়ে করেন। দম্পতির এক সন্তান, দানি মাকসুদ আলি। ২০১৭ সালে তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গেও ডিভোর্স হয়ে যায় লাকির।কেট সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন তাঁদের ডিভোর্সের কারণ। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এরকম এক সঙ্গী চেয়েছিলেন, যাঁর কাছে কেবল তিনিই প্রাধান্য পাবেন।কিন্তু লাকির মনোযোগ বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল তাঁর তিনটি পরিবারের মধ্যে। যা কেট চাননি কখনওই। আর তাই ডিভোর্স।সম্প্রতি লাকির মেয়ে সারা শিরোনাম দখল করেছিলেন নিজের সৌন্দর্যের জন্য। অনাহিতা ও লাকির মেয়ের ছবি পোস্ট করেছিলেন নাফিসা আলি। সেই ছবি দেখে মুগ্ধ নেটিজেনরা।
