#নিউইয়র্ক: বক্সিং রিংয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন জীবন্ত মৃত্যু দূত। সবচেয়ে বেশি নকআউট করে জয়ের রেকর্ড রয়েছে তার দখলে। এই ব্যাপারে মহম্মদ আলির থেকেও এগিয়ে তিনি। মাইক টাইসন। নামটা শুনলেই শিহরণ জাগে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে অতীতে। আজ সেই ভয়ংকর মানুষটির অবস্থা অত্যন্ত করুণ।
মাঝে টাকা পয়সার দিক থেকে খারাপ অবস্থা হলেও এখন কিছুটা সামলে নিয়েছেন। কিন্তু ভেঙে গিয়েছে শরীর। ঠিক করে হাঁটতে পারেন না। কথা আটকে যায় মাঝে মাঝে। ঠিক পারকিনসন নয়, রোগের নাম স্কিয়াটিয়া। এক ধরনের স্নায়ু রোগ যা শরীরের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া শ্লথ করে দেয়। রক্ত চলাচল কমিয়ে দেয়।
এই রোগেই ভুগছেন মাইক টাইসন। তবে চিকিৎসা চলছে। এক সপ্তাহ আগে মায়ামি বিমানবন্দরে টাইসনকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন অনেকে। হুইল চেয়ারে ঘুরছেন। একজন তাকে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে। উঠে দাঁড়ানোর পর হাতে লাঠি। ভাবতে অবাক লাগে এই সেই ভয়ংকর বক্সার যার ঘুষিতে নাকাল হত প্রতিপক্ষ। সংজ্ঞা হারাত অনেকে।
MIKE TYSON VERY SICK IN WHEEL CHAIR . SAYS HES DYING ?TRUTH PREVAILS VACCINATION DEADLY. PPL / KIDS ? NOT SAFE WTF UP. ???PARENTS YOUR KILLING KIDS.? BELIEVING CDC FAUCI / DEMS.SAYS.??♀️ pic.twitter.com/a70atYsubS
— ??TRUMP WON2X ?? (@steo_susan) August 25, 2022
টাইসন অবশ্য এখন পাল্টে গিয়েছেন। দার্শনিক হয়ে গিয়েছেন জীবন সম্পর্কে। টাকা পয়সা শুধু বেঁচে থাকার জন্য যেটুকু দরকার সেটুকুই প্রয়োজন রাখেন। আসলে জীবন তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। মায়ের মৃত্যু বদলে দিয়েছে দর্শন। তিনি বিশ্বাস করেন টাকা থাকলেই মানুষ সবদিক থেকে শক্তিমান, এ কথা ভুল। টাকা মিথ্যে অহংকার।
শেষ কয়েক বছর শুরু করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ায় গাঁজার ব্যবসা। ভালোই চলে সেই ব্যবসা। সরকারের অনুমতি রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া গাঁজা চাষ করার। শুধু নেশা করার জন্য নয়, অনেক ওষুধ তৈরি হয় ওই গাছ ব্যবহার করে। টাইসন বলছেন তরুণ প্রজন্মকে তিনি ভাল মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেবেন।
প্রথাগত শিক্ষা তার নেই। যেটুকু বুঝেছেন জীবন দিয়ে। খুব মনে পড়ে মহম্মদ আলিকে। সেরেনা উইলিয়ামসের বিদায়ী ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কে। যে কদিন বাঁচবেন মানুষের উপকার করে যেতে চান বক্সিংয়ের ‘জীবন্ত দানব।