সিবিআই-কে 'চ্যালেঞ্জ' ব্রাত্য,শশীর

Bratya-Shashi On CBI: ‘কী প্রমাণ লোপাট হল? কারা করল..?’ আরজি কর নিয়ে সিবিআই-কে ‘চ্যালেঞ্জ’ ব্রাত্য,শশীর

কলকাতা: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনায় সিবিআই মামলা হাতে নেওয়ার পরে ২৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনও গ্রেফতার হয়নি। সিবিআই-এর তরফে সে ভাবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে কিছু জানানোও হয়নি। এই অভিযোগ তুলে এবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও শশী পাঁজারা।

এই প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘রাজ্যে একটি নিন্দনীয় ও ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এখনও তদন্তে নেমে সিবিআই সম্পূর্ণ নীরব। তদন্তের কী অগ্রগতি ঘটেছে সে বিষয়ে কিছু জানাচ্ছে না! অতীতে যেভাবে সিবিআই তথ্য দিয়েছে এবারও দিক। ধর্ষণ মামলায় সিবিআইয়ের অগ্রগতি কী তা কেউ জানতে পাচ্ছি না। দুর্নীতি মামলায় চার জন গ্রেফতার হয়েছে৷ এটা অভিমুখ বদলানো বা না বদলানোর অবস্থা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। বিজেপি বলছে প্রমাণ লোপাট করা হয়েছে। কী প্রমাণ লোপাট হল? কারা করল? তাদের গ্রেফতার করতে কেন পারল না সিবিআই? সূত্র বলে কী হবে? সত্যি প্রমাণ লোপাট হলে জানাক সিবিআই।ধোঁয়াশা, নীরবতা ও দীর্ঘসূত্রিতাকে আমরা চ্যালেঞ্জ করছি। এর জবাব আমরা দ্রুত চাই।”

আরও পড়ুন: আর কিছুক্ষণ…! ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি! বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়-জল কাঁপাবে দক্ষিণের ২ জেলা! সতর্কতা উত্তরেও! ভিজবে কি কলকাতা? ‘বড়’ আপডেট দিল আলিপুর

অন্যদিকে অর্থমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, “বিধানসভায় বিল এনে পাশ করানো হয়েছে। সেই দিনে এক বিজেপি বিধায়ক বলেছিলেন, সিবিআই তদন্ত না করতে পারলে তাদেরকেও ছাড়বেন না৷ তাহলে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান কেন করলেন না? অভিযানের সাহস না থাকলে নিদেনপক্ষে একটা চিঠি দিন৷ মহিলা কমিশন যাওয়ার জন্য মিছিল করছিলেন৷ সেটা যাওয়ার আগেই তো সিজিও কমপ্লেক্স পড়ে৷ সেখানে গেলেন না কেন? এরা আসলে জাস্টিস চায় না। এরা সব কিছুতে রাজনীতি করছে। ফেক ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার ও চরম শাস্তি চাই।”

একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গে ব্রাত্য বসু বলেন, “চিকিৎসকদের আন্দোলনকে রাজ্যের তরফে সহানুভূতির সঙ্গে দেখা হচ্ছে৷ আমরা আবেদন করব পরিস্থিতি বিচার করে তারা কাজে যোগ দেবেন। অন্যদিকে বুধবার রাতে শ্যামবাজারে জুনিয়র চিকিৎসকদের ডাকে রাত জাগো কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের উপর আন্দোলনকারীদের একাংশের বিরূপ ব্যবহার, তাঁর গাড়ির উপর হামলা প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, একই পেশার সঙ্গে যুক্ত আমিও৷ একজন সিনিয়র অভিনেত্রী, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রীর সঙ্গে এই আচরণ করতে পারি না আমরা। এটাকে কোনওভাবেই সমর্থন করছি না।

একই সুর শোনা গেল মন্ত্রী শশী পাঁজার মুখেও। তিনি বলেন, “যারা ওই ভাবে অভিনেত্রীকে তাড়া করছেন বা যারা এই আচরণ করছেন, তাদের পরিচয় কী এটা বার করতে হবে।” ব্রাত্য বসু বলেন, “এই সব ঘটনা নারী বিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে। পতাকা পুড়িয়ে কী লাভ হল। এর পেছনে রাজনীতি আছে।”