কলকাতা: প্রায় এক মাস হতে চলেছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার। এরই মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রাইকে। সঞ্জয় আপাতত জেল হেফাজতে। ঘটনার তদন্তে গতি আনতে কোমর বেঁধে নেমেছেম কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। আর সেখানেই গোয়েন্দাদের চিন্তা বাড়িয়েছে এক বিশেষ ঘটনা।
তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, ৮ অগস্ট রাত থেকে ৯ অগস্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে চেস্ট ডিপার্টমেন্টে যাতায়াতকারী সকলের মোবাইলের ‘কল ডিটেলস’ এবং ‘টাওয়ার লোকেশন’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই রাতে কর্তব্যরত জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক, নিরাপত্তা কর্মী এবং নার্সদের অবস্থান মোবাইল থেকে নিশ্চিত ভাবে জানার চেষ্টা চলছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২৫টির বেশি মোবাইল নম্বরে টাওয়ার লোকেশনের সূত্র পর্যবেক্ষণ করেছেন তদন্তকারী দলের চার জন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। প্রাথমিক ভাবে ওই রাতে হাসপাতালে কর্তব্যরতদের মোবাইল ফোন পরীক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এবং তার ভিত্তিতে কর্তব্যরত জুনিয়র-সিনিয়র চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তারক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নির্যাতিতার বাবাকে ফোন কুণাল ঘোষের! জানালেন তাঁরও স্বর, ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’
সিবিআই সূত্রে খবর, টাওয়ার লোকেশন অনুযায়ী অবস্থান এবং তাঁদের বয়ান পরস্পরবিরোধী হওয়ায় চার জন চিকিৎসক, দু’জন নিরাপত্তাকর্মী এবং সঞ্জয় রায় ও সন্দীপ ঘোষের পলিগ্রাফ টেস্ট করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের টাওয়ার লোকেশন ও বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। তাঁদের একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, প্রয়োজনে পলিগ্রাফ টেস্ট হবে।”
অমিত সরকার