আলু স্বাস্থ্যের জন্য যতটা উপকারী, ততটাই উপকারী এর খোসাও। তবে আমরা প্রত্যেকেই প্রায় আলুর খোসা ছাড়ানোর পরে সেই খোসা আবর্জনায় ফেলে দিই। কিন্তু জানেন কি? আলুর খোসারও রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ৷ এটিও পুষ্টিগুণে ভরপুর। নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং-এর কাছ থেকে আমরা জেনে নেব আলুর খোসার উপকারিতা৷আলুর খোসা উল্লিখিত সব রোগেই সঞ্জীবনীর মতই উপকারী। এতে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অক্সালেট, ফাইবার, প্রোটিন, খনিজ পদার্থ, ভিটামিন বি6 এবং ভিটামিন ডি-এর মতো পুষ্টিকর জিনিস।আলুর খোসা ছাড়িয়ে তা ভাল করে ধুয়ে ভেজে বা তরকারি করে খেলে বিপুল উপকার পাওয়া যায় বলে মনে করা হয়৷নগর বালিয়ার সরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালের ৭ বছরের অভিজ্ঞ (মেডিসিনে এমডি এবং পিএইচডি) মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ প্রিয়াঙ্কা সিং জানাচ্ছেন, আলুর খোসা খুবই উপকারী। এতে ফাইটোকেমিক্যাল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড থাকায় এটি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এ ছাড়া এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, রক্তের কোলেস্টেরল, হার্ট অ্যাটাক, ত্বক, পরিপাকতন্ত্র, স্থূলতা, টিউমার, কোষ্ঠকাঠিন্য উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, রক্তশূন্যতা, হাড় ও চুল সৌন্দর্যের জন্যেও অত্যন্ত উপকারী।আলুর খোসার কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা আপাতত জানা নেই বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞেরা৷ কিন্তু, সকলের শরীর ও রোগের ধরন আলাদা, তাই নতুন কিছু খাওয়ার আগ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷ আপনি যদি কোনও দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগে থাকেন, তাহলেও এবিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ, বয়স ও রোগ অনুযায়ী কোন জিনিস কতটা খাওয়া যায়, তা শুধুমাত্র একজন বিশেষজ্ঞই বলতে পারেন।দাবিত্যাগ: এই সংবাদে দেওয়া ওষুধ/ওষুধ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের সাথে কথোপকথনের উপর ভিত্তি করে। এটি সাধারণ তথ্য, ব্যক্তিগত পরামর্শ নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই যেকোনো কিছু ব্যবহার করুন। লোকাল-18 এই ধরনের কোনো ব্যবহারের কারণে কোনো ক্ষতির জন্য দায়ী থাকবে না
