কলকাতা হাই কোর্ট৷

Calcutta High Court: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে আইনজীবীদের মিছিল… একই দিনে দুই আইনজীবীর তুমুল বচসা

কলকাতা: আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রতিবাদে পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক দল, টলিপাড়া, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবীরা।  এর মাঝেই কলকাতা হাইকোর্টে প্রবল উত্তেজনা। তুমুল বচসা প্রবীণ আইনজীবী তথা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম বামপন্থী আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্তের। ছিলেন সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, ফিরদৌস সামিম, পিন্টু কারার, সায়ন বন্দোপাধ্যায়, মলয় ভট্টাচার্য, গোপা বিশ্বাস, সিদ্ধার্থ মণ্ডলরা। কল্যাণের সঙ্গেই ছিলেন তখন তাঁর ছেলে। তিনি বাবাকে জটলা থেকে বের করে নিয়ে যান। এই সময় বামপন্থী আইনজীবীদের সঙ্গে স্লোগানে গলা মেলান বিজেপিপন্থী আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি-সহ কয়েকজন।

আর জি কর কাণ্ডে তোলপাড় গোটা বাংলা। প্রতিবাদ ও সুবিচারের দাবিতে পথে নেমেছে সবমহল। সকলেরই একই দাবি, ন্যায়বিচার। সোমবার কালো রোব পরে হাতে পোস্টার নিয়ে মিছিল করেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবীরা।

আরও পড়ুন: হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন সুখেন্দুশেখর! পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতারির আশঙ্কায় তৃণমূল সাংসদ

প্রাক্তন এজি  সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সমস্ত আইনজীবী যখন রাস্তায় নামে তখন এটা স্পষ্ট রাজ্যের পুলিশের উপর মানুষের আস্থা থাকছে না। সুবিচার দিতেই হবে। এরকম আগে কোনওদিন আইনজীবীদের নামতে হয়নি। আইনজীবীরা যখন রাস্তায় নামছে তখন সাধারণ মানুষের পালস সহজেই বোঝা যায।’

কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় বলেন,  ‘আমরা চাই দ্রুত বিচার। আরজি করের বিচার চেয়ে আমরা সবাই পথে নেমেছি আজ। একজন, ২ জন না কতজন অভিযুক্ত সেটা তদন্তকারী এক্সপার্টরা বলতে পারবেন। তদন্তের ওপর প্রভাব খাটানো যায় না।  যদি কারও কোনও তথ্য দেওয়ার থাকে তারা সিজিও গিয়ে সিবিআই কে দিয়ে আসতে পারেন।’  সিনিয়র অ্যাডভোকেট পার্থসারথী সেনগুপ্ত বলেন,  ‘আইনজীবীরা নেমেছেন, সাধারণ মানুষদেরও পথে নামা উচিত।’