#মাদ্রিদ: আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর নেইমার ঘন্টাখানেকের মধ্যেই শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়ে দিয়েছিলেন লিওনেল মেসিকে। বড় ভাই হিসেবে লিওকে দেখা ব্রাজিল সুপারস্টার জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি কতটা খুশি হয়েছেন মেসির হাতে বিশ্বসেরা ট্রফি দেখতে পেয়ে। পৃথিবী জুড়ে বহু বিখ্যাত ফুটবলার এরপর একে একে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে থাকেন মেসিকে।
কিন্তু চুপচাপ ছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এই প্রথমবার মুখ খুললেন তিনি। লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো জানালেন তিনি খুশি মেসিকে চ্যাম্পিয়ন হতে দেখে। কিন্তু সর্বকালের সেরা ফুটবলারের বিতর্ক এতে শেষ হয়ে গেল মানতে নারাজ তিনি।
আরও পড়ুন – ঢাকার রাজপথে আর্জেন্টিনার জার্সিতে সেলিব্রেশন সাকিবের! মিশে গেলেন মানুষের ভিড়ে
পর্তুগিজ সুপারস্টার এর যুক্তি, মেসির সঙ্গে তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে লড়াই চলেছে ১৩-১৪ বছর ধরে। একটা বিশ্বকাপ জয়ের কারণে মেসির থেকে তিনি অনেক পিছিয়ে পড়লেন এটা মানতে পারবেন না। অবশ্যই মেসি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো ফুটবলার এটা মানতে দ্বিধা নেই তার। কিন্তু GOAT বিতর্ক শেষ হয়ে গেল এটা মানতে পারবেন না।
Ronaldo fans are now liking the egg photo on IG so that Messi World Cup post doesn’t reach more likes.
These guys will never recover from the damage Messi has done to them.
They will have to watch Messi pics with World Cup trophy for the rest of their lives. ? pic.twitter.com/UpjAjmCkC4
— Ho Lee Fuk (@erujit) December 20, 2022
উদাহরণ দিয়ে রোনাল্ডো বলেছেন কেউ সোনালী চুলের মহিলা পছন্দ করেন, কেউ আবার একটু ব্রুনেট পছন্দ করেন। কিন্তু দু ধরনের মহিলাই বেশ আকর্ষণীয়। মেসি এবং তার লড়াইটা ঠিক এরকমই। তবে অনেকেই মনে করছেন রোনাল্ডো যাই বলুন না কেন, বিশ্বকাপ জয়ের কারণে GOAT বিতর্ক শেষ হয়ে গিয়েছে এটা মানতে দ্বিধা থাকা উচিত নয়।
এমনকি এই বিশ্বকাপে হয়তো রোনাল্ডোর সেরা সময় ছিল না। পর্তুগালের কোচ বিতর্ক বাড়িয়েছেন তাকে প্রথম দল থেকে সরিয়ে দিয়ে। কিন্তু এটাও ঠিক আর্জেন্টিনার হয়ে মেসি যে ফর্মে ছিলেন, পর্তুগালের জার্সিতে এই বিশ্বকাপে তার অর্ধেক ফর্মও দেখাতে পারেননি সিআর সেভেন।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে মেসি প্রথম ফুটবলার যার পাঁচটা ম্যান অব দ্যা ম্যাচ পুরস্কার রয়েছে। রোনাল্ডো মাদ্রিদে বসে সব দেখেছেন। তবে তার সমর্থন যে মেসির আর্জেন্টিনা নয় বরং ছিল ফ্রান্সের পক্ষেই, মুখে না বললেও তা নিয়ে সংশয় নেই।