দেশ Cyclone Alert IMD: বদলে গেল ‘ল্যান্ডফলের’ সময়…! কখন ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে দানব ‘দানা’? সাইক্লোনের ‘নতুন’ আপডেট দিয়ে দিল IMD! প্রহর গুনছে বাংলা! Gallery October 24, 2024 Bangla Digital Desk আইএমডি থেকে এল নতুন আপডেট। ঘূর্ণিঝড় দানার ল্যান্ডফলের সময় কী বদলে যাচ্ছে ? কী হতে চলেছে মাঝরাতে? সব জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর। সর্বশেষ পূর্বাভাস জানাচ্ছে “পুরোপুরি ল্যান্ডফল প্রসেস অনেকটা দেরি হবে। মধ্যরাতের জায়গায় ভোর রাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। উপকূল থেকে ১০০ কিলোমিটার আগেই ধীর গতিতে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত করতে চলেছে সাইক্লোন দানা। ইতিমধ্যেই ঘন মেঘে ছেয়ে গিয়েছে আকাশ। আরও শক্তিশালী হলে প্রবল বেগে বইছে দমকা বাতাস। আকাশ ক্রমশ অন্ধকারে ছেয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। আইএমডি-র সর্বশেষ পূর্বাভাস বলছে সন্ধ্যা এবং রাতের দিক থেকেই ভয়ঙ্কর আকার নেবে এলোপাথাড়ি বাতাস। ঘূর্ণিঝড়টি ২৪ অক্টোবর এবং ২৫ অক্টোবরের রাতের মধ্যে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ২৫শে অক্টোবরের ভোরে ঝড়ের গতিবেগ সর্বাধিক হওয়ার আশঙ্কা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, আজ বিকেল ৫টা থেকে আগামিকাল সকাল ৯টার মধ্যে কলকাতা ও ভুবনেশ্বরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকছে। প্রিমিয়াম ট্রেন-সহ ২০০টিরও বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। =স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং অফিসগুলিতেও সীমিত কাজ চলছে। চার লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। কেন্দুপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, জগৎসিংহপুর এবং পুরীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলির জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা দিঘা, কন্টাই, নন্দীগ্রাম এবং ডায়মন্ড হারবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলরেখাও অরক্ষিত। এমনকি বিষ্ণুপুর, হাওড়া, কলকাতা এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার অভ্যন্তরীণ অংশগুলিতেও এর প্রভাব বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে চলেছে। ঝড়ের বাইরের ব্যান্ড এবং পেরিফেরিয়ালগুলি আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর বড়সড় প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। এগুলি ক্রমশ আরও উদ্বেগের হতে পারে এবং রাত এবং সকালের দিকেই মূলত প্রতিকূল থাকতে পারে আবহাওয়া। ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ডফলের পরে ১০০ কিমি/ঘণ্টা বেগে থেকে প্রায় ১২৫ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঝড়ের সেই ভয়ঙ্কর গতি এবং ভারী বৃষ্টিপাত রাজ্যে রাজ্যে সবচেয়ে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা। আইএমডি-র পূর্বাভাস বলছে এই সিভিয়ার সাইক্লোনের ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়াটি যেমন দীর্ঘ প্রক্রিয়া হবে একইসঙ্গে এটি সম্পূর্ণ হতে প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম করার পরও প্রায় ছয় ঘণ্টা তার ঝড়ের তীব্রতা বজায় রাখবে। আগামিকাল শুক্রবার সারাদিন যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় ধরণের বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা।