দেশ Cyclone Dana: আমফান থেকে দানা, ২৫ বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের ঘনঘটায় ঢেকেছে ওড়িশার আকাশ! Gallery October 25, 2024 Bangla Digital Desk ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা। ল্যান্ডফলের হল আবারও সেই ওড়িশাতেই। গত ২৫ বছরে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে বিধ্বস্ত হয়েছেন ওড়িশা এবং পশ্চিমবাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলের মানুষেরা। প্রতীকী ছবি। সমুদ্রের ধার ঘেঁষা পড়শি রাজ্য ওড়িশার সঙ্গে যেন ঘূর্ণিঝড় ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে। একের পর এক ঝড় প্রায় প্রতি বছরই আছড়ে পড়ে এই রাজ্যে। ইয়াস, আমফান এরপর এবার ‘দানা’ও আছড়ে পড়ল বাংলার এই পড়শি রাজ্যে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পুরোটা সামনে আসেনি। তবে এই ঝড় আছড়ে পড়লেও স্বস্তির খবর শুনিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। এই ঝড়ে ওড়িশায় কোনও প্রাণহানি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি। প্রতীকী ছবি। ১৯৯৯ সালের ২৯ অক্টোবর ‘সুপার সাইক্লোন’ কার্যত তছনচ করে দেয় ওড়িশার একাংশকে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জগৎসিংহপুরের পদমপুর এলাকা। গোটা এলাকা কার্যত তছনচ হয়ে যায়। সমুদ্রে তলিয়ে যান বহু গ্রামবাসী। ১৯৯৯ সালের ওই ‘সুপার সাইক্লোনে’ বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে গোটা জগৎসিংহপুর। ওই জেলায় এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মৃত্যু হয় ৮ হাজার ১১৯ জনের। এরপরেই কটকে (৪৭১) এবং কেন্দ্রাপাড়া(৪৬৯) জন মারা যান। প্রতীকী ছবি।১৯৯৯ সালের ওই সাইক্লোনে ২৬৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায় এলাকা দিয়ে। ৩৬ ঘণ্টা ধরে চলে এই মহাপ্রলয়। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় গোটা অঞ্চল। প্রতীকী ছবি। ২০১৩ সালে আবারও সেই অক্টোবরের ১২ তারিখে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘ফাইলিন’। গঞ্জাম, পুরী এবং খুরদা জেলায় তাণ্ডব চালায় সে। ঝড়ের গতিবেগ পৌঁছে যায় ২৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। প্রতীকী ছবি। ঠিক এক বছর বাদে ২০১৪ সালে ওড়িশায় ফের আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’। ওড়িশার গজপতি, কোরাপুট-সহ একাধিক জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় সে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৮৫ কিলোমিটার। ২০১৮ সালে ফের ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে ওড়িশায়। ‘তিতলি’ অন্ধ্রপ্রদেশে আছড়ে পড়লেও প্রভাব পড়ে এই রাজ্যের গোপালপুরে। গঞ্জাম এবং গজপতি জেলাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রতীকী ছবি। ২০১৯ মে মাসে ওড়িশার পুরীর কাছে আছড়ে পড়ে ‘ফণী’ তার ছোবলে প্রাণ হারান বহু মানুষ। এই ঝড়ের গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার। প্রতীকী ছবি। সেই বছরই ৯ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগরদ্বীপে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’। যার প্রভাবে ওড়িশার বালেশ্বর, কেন্দ্রাপাড়া,ভদ্রকের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বৃষ্টি হয়। ঝড়ের গতি ছিল ১৩০ কিলোমিটার।প্রতীকী ছবি। ২০২০ সালের ২০ মে বাংলার দিঘা এবং হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি এই ঝড় ধ্বংসলীলা চালায় ওড়িশাতেও। ওড়িশার বালেশ্বর, কেন্দ্রাপাড়া,ভদ্রকের মতন উপকূলীয় স্থানে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৫০ কিলোমিটার। প্রতীকী ছবি। পরের বছর ২০২১ সালে ২৬ মে ওড়িশার ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যানের কাছে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি চালায় এই ঝড়। এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। প্রতীকী ছবি। ২০২৪ সালে ২৫ অক্টোবর ওড়িশার ভিতরকণিকা এবং ধামারার মধ্য দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ ছিল সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার। এই ঝড় ক্ষয়ক্ষতি চালালেও ওড়িশায় এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায় নি। প্রতীকী ছবি।