ভারতীয় মতে সংখ্যাতত্ত্বের উপর ভিত্তি করেও ভাগ্যফল নির্ধারণ করা হয়। সাধারণত জন্মতারিখ অনুযায়ী হিসেব-নিকেশ করে সংখ্যাতত্ত্বের ক্ষেত্রে ভাগ্যগণনা করা হয়ে থাকে। যেমন ধরে নেওয়া যাক, কারও জন্মতারিখ ১১। এক্ষেত্রে তাঁর জন্মগত সংখ্যা হবে ১+১= ২। ফলে তাঁকে সংখ্যাতত্ত্বের #২-এর গণনা দেখতে হবে। অর্থাৎ নিজের জন্মতারিখের যোগফল হিসেব করে সংখ্যাতত্ত্বের গণনা করা হয়। এ হেন সংখ্যাতত্ত্ব নিয়ে এবার নিউজ18 বাংলার জন্য কলম ধরলেন প্রখ্যাত দূরদর্শী জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা, সেই অনুযায়ী নিজের জন্মদিন মিলিয়ে দেখে নেওয়া যাক কার ভাগ্যে কী রয়েছে ৷#সংখ্যা ১ (যাঁদের জন্ম ১, ১০, ১৯ এবং ২৮ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ১, তাঁদের দিনের শুরুতে বাধার মুখে পড়তে হবে। এর ফলে আচরণে কিছুটা বিরক্তি থাকবে। তবে দিন শেষ হওয়ার আগে পরিস্থিতি ইতিবাচক হবে। আর্থিক দিক থেকেও এই দিন ভাল কাটবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য অনুকূল সময়। সব মিলিয়ে দিন ভাল যাবে। পরিবারের সঙ্গে দিনের কিছুটা সময় কাটালে উপকার মিলবে।#সংখ্যা ২ (যাঁদের জন্ম ২, ১১, ২০ এবং ২৯ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ২, তাঁদের এই দিন ভাল কাটবে। মহিলাদের হরমোন জনিত সমস্যা হতে পারে। আর্থিক সমস্যাতেও পড়তে হতে পারে। তবে মনে হচ্ছে খুব শীঘ্রই বকেয়া টাকা হাতে আসবে। ব্যবসায় অর্থ বিনিয়োগ করা যায়, ভবিষ্যতে কাজে আসবে। পারিবারিক দিক থেকে দেখলে, এই দিন মিশ্র কাটবে। ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে, অন্যথায় বাড়িতে বিবাদ বাড়তে পারে।#সংখ্যা ৩ (যাঁদের জন্ম ৩, ১২, ২১ এবং ৩০ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৩, তাঁদের জন্য ভাল দিন। পরিকল্পিত কাজ সময়ে শেষ হবে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন ৩ জন্মতারিখের জাতক জাতিকারা। পিতা এবং পুত্রের কাছ থেকে সাহায্য নিলে অনেক উপকার হবে। বাবাকে উপহার দেওয়া লাভজনক হতে পারে। মেজাজ ভাল থাকবে। আশপাশের লোক ৩ জন্মতারিখের ব্যক্তিদের কথা শুনবে এবং বুঝবে।#সংখ্যা ৪ (যাঁদের জন্ম ৪, ১৩, ২২ এবং ৩১ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৪, তাঁদের এই দিন কিছুটা একগুঁয়ে আচরণ করতে দেখা যাবে। প্রযুক্তির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা প্রভূত উন্নতি করবেন। বাকিদের জন্য সময়টা অনুকূল নয়। অনেক বাধার মুখে পড়তে হবে। নিজের আচরণের কারণেই সমস্যা তৈরি হবে। কথাবার্তায় তিক্ততা থাকবে, যার কারণে বাড়িতেও তর্ক হতে পারে। পায়ে আঘাত বা ব্যথা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।#সংখ্যা ৫ (যাঁদের জন্ম ৫, ১৪ এবং ২৩ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৫, তাঁদের এই দিন ভাল কাটবে। কাজে বাধা আসতে পারে, এমনকী কাজ শেষ না হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সূর্যকে জল নিবেদন এবং পিতাকে গুড় বা গুড় থেকে তৈরি কিছু খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এতে উপকার মিলবে। পারিবারিক দিক থেকে দেখলে, সময় ভাল যাবে। বাবার কথা শুনলে উপকার মিলতে পারে।#সংখ্যা ৬ (যাঁদের জন্ম ৬, ১৫ এবং ২৪ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৬, তাঁদের এই দিন মিশ্র হতে চলেছে। ব্যবসায় বাধার মুখে পড়তে হতে পারে, তবে বোন বা মেয়ের পরামর্শ নিলে প্রচুর লাভের সম্ভাবনা রয়েছে। নম্র হতে হবে। কটু কথা বলা চলবে না। সংযমের সঙ্গে কাজ করলে সাফল্য মিলবে।#সংখ্যা ৭ (যাঁদের জন্ম ৭, ১৬ এবং ২৫ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৭, এই দিন তাঁরা একগুঁয়ে আচরণ করবে। নিজের মত বা সিদ্ধান্তে অটল থাকতে দেখা যাবে। এই কারণে স্ত্রী এবং সহকর্মীদের সঙ্গে মতভেদ হতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খিটখিটে আচরণ করতে দেখা যাবে। প্রতিকার হিসেবে শনিদেবের মন্দিরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, এতে উপকার মিলবে, মন শান্ত থাকবে।#সংখ্যা ৮ (যাঁদের জন্ম ৮, ১৭ এবং ২৬ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৮, এই দিন তাঁদের শরীর ভাল যাবে না। ভাইরাল সংক্রমণ হতে পারে। বাইরে যাওয়ার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। শ্রমিক শ্রেণীর সংস্পর্শে এলে সংক্রমণ বাড়তে পারে। দিনের শুরুতে শরীর, মনে উদ্যম থাকবে কিন্তু সময় যত গড়াবে আলস্য ঘিরে ধরবে। নিজেকে অসুস্থ মনে হবে। প্রতিকার হিসেবে শনিদেবের মন্দিরে গিয়ে পুজো দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ৮ জন্মতারিখের ব্যক্তিদের আচরণে স্ত্রী বিরক্ত হতে পারে, তাই ধৈর্য ধরতে হবে।#সংখ্যা ৯ (যাঁদের জন্ম ৯, ১৮ এবং ২৭ তারিখে): শ্রী গণেশ বলছেন, সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী যে সব জাতক জাতিকার জন্মতারিখ বা মূল্যাঙ্ক ৯, তাঁদের এই দিন আঘাত লাগার সম্ভাবনা রয়েছে। স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। গাড়ি চালাতে হবে খুব সাবধানে। ভাইদের সঙ্গে অপ্রয়োজনীয় তর্ক করা চলবে না। যতটা সম্ভব শান্ত এবং ভদ্র ভাষায় কথা বলতে হবে। পরিবারের মধ্যে ঝগড়া মাথাব্যথার কারণ হতে চলেছে। এর ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে। প্রতিকার হিসেবে কথা বলার সময় সংযম এবং কঠোর ভাষা ব্যবহার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। (Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন)
