ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী, কলকাতা: আরজি করের চিকিৎসককে ধর্ষণ- খুনের ঘটনায় মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচি পালনের রাতেই আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। তছনছ করা হয় হাসপাতালের একাধিক বিভাগ। আক্রান্ত হন হাসপাতালের কয়েক জন চিকিৎসাকর্মী। এই ঘটনার পরপরই কড়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্ত সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেল্থ সার্ভিসেস (Directorate General of Health Services)।
নির্দেশিকা জারি করে ডিজিএইচএস (DGHS) জানিয়ে দিল যে, হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা চিকিৎসাকর্মীদের উপর হামলা হলে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই এফআইআর দায়ের করতে হবে সেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে। আরজি কর ঘটনার পর থেকেই এ রাজ্যের পাশাপাশি গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশকে নিশানা করে পথে নেমেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও।
অন্যদিকে আরজি কর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেপি নাড্ডা কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করে একটি ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘‘বাংলা এমন একটা রাজ্যে পরিণত হয়েছে যেখানে আইনের শাসন বলে কিছু নেই। বিশেষ করে মহিলাদের উপর অত্যাচারের ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’’
নাড্ডা আরও বলেন, ‘‘এটা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। সরকার মানুষের চোখে ধুলো দিয়ে আরজি কর ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চাইছিল। আমি এই বিষয়টারও তীব্র নিন্দা করছি।’’’ আর এর ঠিক পরে পরেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা গোটা দেশে কোথাও কোনও চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মী আক্রান্ত হলে ঘটনা ঘটার ৬ ঘণ্টার মধ্যে এফআইআর দায়ের করার বিষয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল।