DNA profiling in RG Kar investigation: আরজি কর কাণ্ডের রহস্যভেদ করতে পারে ডিএনএ প্রোফাইলিং? কঠিন পরীক্ষায় সিবিআই

কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশের পর আজ থেকেই আর জি কর কাণ্ডের তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই৷ আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন, এই ঘটনার সঙ্গে ধৃত সঞ্জয় রাই ছাড়া আর কেউ জড়িত কি না? ঘটনার প্রায় পাঁচ দিন পর তদন্ত শুরু করে এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়াই এখন সিবিআই-এর কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, আর জি কর কাণ্ডের জট এখন কাটাতে বড় ভূমিকা নিতে পারে ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষার ফল৷

ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষায় নির্যাতিতার শরীরে পাওয়া দেহরসের সঙ্গে ধৃত সঞ্জয় রাইয়ের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে মিলিয়ে দেখা হবে৷ পরীক্ষার ফল কী আসে, তার উপর ভিত্তি করেই তদন্তের মোড় ঘুরে যেতে পারে৷ ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষার ফলে যদি সঞ্জয় ছাড়াও অন্য কারও দেহরসের উপস্থিতির প্রমাণ মেলে, সেক্ষেত্রে তদন্ত প্রক্রিয়া আরও জটিল হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে গণধর্ষণের অভিযোগ যেমন প্রমাণিত হবে, বাকি কারা এই নির্যাতন এবং খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাও খুঁজে বের করতে হবে সিবিআই তদন্তকারীদের৷

আরও পড়ুন: ‘আমার মেয়েটা তো ফিরে আসবে না!’ সিবিআই তদন্তের নির্দেশেও নিশ্চিন্ত নন নির্যাতিতার বাবা

এই ঘটনার শুরু থেকেই নিহত চিকিৎসকের বাবা মা এবং আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা অভিযোগ করছেন, নির্যাতিতাকে গণধর্ষণই করা হয়েছে৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্টে তরুণী চিকিৎসকের শরীরে যে সমস্ত মারাত্মক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে, তার ভিত্তিতেই এই অভিযোগ করা হচ্ছে৷ সিবিআই-এর কাছে এখন সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ, তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে এই অভিযোগ প্রমাণ করা৷

আর জি কর হাসপাতালের যে সেমিনার রুমে এই ঘটনা ঘটেছিল, সেখানেও যাওয়ার কথা সিবিআই-এর তদন্তকারীদের৷ কিন্তু ঘটনার প্রায় পাঁচদিন পরে অকুতস্থলে তথ্যপ্রমাণ আদৌ কিছু অক্ষত রয়েছে কি না, তা নিয়েই যথেষ্ট সংশয় থাকছে৷ তার উপর এই ঘটনায় প্রভাবশালীদের জড়িত থাকারও অভিযোগ উঠছে৷ তার উপরে দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলে দেওয়া এই ঘটনার দ্রুত রহস্যভেদ করার চাপ রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপরে৷ আর এই রহস্যের জটিল জট কাটাতে সিবিআই-এর অস্ত্র হতে পারে ডিএনএ প্রোফাইলিং পরীক্ষার ফল৷ কলকাতা পুলিশ সূত্রে অবশ্য খবর, ইতিমধ্যেই তাদের পক্ষ থেকে ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে৷