কলকাতা: তামাক চিবিয়ে রেলওয়ে চত্বরের যত্রতত্র থুতু ফেলা নিজের জন্য ক্ষতিকর তো বটেই, পাশাপাশি এ ধরণের কাজের জন্য শাস্তির মুখোমুখি ও হতে পারেন। রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে, প্লাটফর্মের যেকোনও জায়গায় বিশেষত লিফ্টে, ফুট ওভার ব্রিজগুলিতে ও ট্রেনের কামরায় থুতু বা আবর্জনা ফেললে পরিবেশের সৌন্দর্য নষ্ট হয় এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাত্রা কমে যায়, যা সহযাত্রীদের স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলে।
রেলওয়ে স্টেশনে বসানো উচ্চ প্রযুক্তির সিসিটিভি ক্যামেরা রেলওয়ে চত্বরে যেকোনও ব্যক্তির আবর্জনা বা থুতু ফেলার ঘটনাকে সহজেই সনাক্ত করে এবং অপরাধ সনাক্ত হলেই জরিমানা ও কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া হয়। পূর্ব রেলওয়ের আরপিএফ সবসময় সতর্ক থাকে যাতে রেলওয়ে চত্বরে আবর্জনা বা থুতু ফেলার মতো কাজগুলিকে দমন করা যায়। আরপিএফ ট্রেন বা স্টেশনে পেট্রোলিং করার সময় এ ধরনের অপরাধীদের আটক করে এবং তাদের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে যাতে ভবিষ্যতে তারা দায়িত্বশীল আচরণ করে।
এবছর জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত সময়ে, পূর্ব রেলওয়ের আরপিএফ রেলওয়ে চত্বর অপরিচ্ছন্ন করার জন্য ১২,৯০০ জন অপরাধীকে আটক করেছে এবং তাদের কাছ থেকে ₹১৭,৬৬,০১০/- জরিমানা আদায় করেছে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে ৪৯৫৮ জন, শিয়ালদহ ডিভিশনে ২০২৩ জন, আসানসোল ডিভিশনে ২২১৪ জন এবং মালদা ডিভিশনে ৩৭০৪ জন অপরাধীকে আটক করা হয়েছে।
এই মাসে অর্থাৎ অক্টোবরে উৎসবের মরসুমের কথা মাথায় রেখে আরপিএফ তাদের নজরদারি আরও বাড়িয়েছে এবং ১ থেকে ৩০ অক্টোবর ২০২৪ এর সময়কালে পূর্ব রেলওয়ে মোট ১০,৪৭০ জনকে আটক করেছে এবং তাদের কাছ থেকে ₹১৫,৩৭,৯৬৫/- জরিমানা আদায় করেছে। এর মধ্যে হাওড়া ডিভিশনে ২৭৮৬ জন, শিয়ালদহ ডিভিশনে ৪৬৬৬ জন, আসানসোল ডিভিশনে ২৩০৪ জন এবং মালদা ডিভিশনে ৭১৪ জনকে রেলওয়ে চত্বরে আবর্জনা বা থুতু ফেলার জন্য আটক করা হয়েছে।
আরপিএফ রেলওয়ে চত্বরে আবর্জনা বা থুতু ফেলার মতো অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাদের আচরণে পরিবর্তন আনার জন্য। তবে রেলওয়ে সকল যাত্রী ও রেল ব্যবহারকারীদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছে যেন তারা রেলওয়ে চত্বরে থুতু বা আবর্জনা না ফেলে, কারণ এটি শুধুমাত্র পরিবেশের অবনতি ঘটাবে না বরং যাত্রীদের স্বাস্থ্যের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলবে।
রেলওয়ের কর্মীরা রেলওয়ে চত্বরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে চলেছে এবং রেল ব্যবহারকারী ও যাত্রীদের ও দায়িত্ব পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা যাতে পরিবেশের স্বাস্থ্য ও রেল পরিসরের অবস্থায় অবক্ষয় না ঘটে।