ভারতে বর্ষার বৃষ্টি কবে থেকে শুরু হবে, তা মোটামুটি ঘোষণা করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় মৌসম ভবন আইএমডি৷ কিন্তু সেই বর্ষার পরিমাণ এ বার পুরো বর্ষাকাল জুড়ে কতটা থাকতে চলেছে, তাই নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছে৷ তবে আইএমডি আশা করছে একেবারে অন্যরকম হবে এ বারের বর্ষার পরিমাণ৷গত ২৭ মে, অর্থাৎ সোমবার ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এ বারে ভারতে দেখা যাবে লা নিনার প্রভাব৷ এল নিনার উল্টো দিকে, লা নিনার প্রভাবে সাধারণত বৃষ্টির পরিমাণ বাড়ে -কমে৷ এ বারে সেই প্রভাবই বেশি পরিমাণে দেখা যাবে৷আইএমডি-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, জুন থেকে সেপ্টেম্বর, যে সময়টায় ভারতে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকে৷ সেই সময়েই এ বার যে পরিমাণ বৃষ্টি হবে, সেটি সাধারণের থেকে অনেকটাই বেশি হতে পারে৷ আইএমডি-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এ বার গড়ের তুলনায় বৃষ্টি বেশি হবে৷’আইএমডি-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, বৃষ্টির পরিমাণ ১০৬ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে, তবে হিসাব ৪ শতাংশ পর্যন্ত এদিক-ওদিক হতে পারে৷ অর্থাৎ, ২০২৪ সালে আইএমডি এক্সপেক্ট করছে বৃষ্টি স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা বেসি হতে পারে৷সাধারণত বর্ষাকালের বৃষ্টির উপর নির্ভর করে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও ছত্তিশগড়. মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের কৃষি কাজ নির্ভর করে৷ সেই কারণেই বর্ষাকালীন বৃষ্টির উপর অনেককেই নির্ভর করতে হয়৷ সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই রাজ্যগুলির কৃষিক্ষেত্র বিশেষ ভাবে উপকৃত হবে বৃষ্টির ফলে৷আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে লা নিনার প্রভাব দেখা দেবে৷ এ ছাড়া জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হতে পারে ৯২ থেকে ১০৮ শতাংশ, যার দীর্ঘকালীন গড় ১৬৬.৯ মিলিমিটার৷তবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে এ মরশুমে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে৷ সেই কারণ উত্তরপূর্ব ভারতে বৃষ্টি নিয়ে অভাব দেখা দিতে পারে৷ এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ও দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলেও এ মরশুমে বৃষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে৷
