ফ্যাশন জগতে ট্যাটু এখন খুবই পছন্দের বিষয়। যদিও এই ট্যাটু খুবই প্রাচীন এক পদ্ধতি। নিজের গায়ে পছন্দের নকশা করিয়ে নেন এই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা। তাঁরা বেশির ভাগ সময়ই আদিবাসী বা মূলবাসী। কিন্তু গত কয়েক বছরে এলিট ফ্যাশন রাজ্যে পাকা আসন করে ফেলেছে এই ট্যাটু। নিজের পছন্দের নাম, ছবি বা অর্থবহ কোনও বিষয় নিজের দেহে খোদাই করে রাখছেন মানুষ।ট্যাটুর কালি থেকে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই কার্সিনোজেনিক অ্যারোমেটিক অ্যামাইন, পলিসাইক্লিক অ্যারোমেটিক হাইড্রোকার্বন (PAHs), ধাতু এবং মিথানলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।নিজেকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য তরুণ প্রজন্ম এই দিকে ঝুঁকছে। এমনিতে ট্যাটু করানোর খরচ বেশি। তাই অনেকেই যেকোনও জায়গা থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে ট্যাটু করিয়ে নিতে চান। তাতে আখেরে নিজের প্রতি অন্যায় করা হয়।চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. রবি মোহন বলেন, ‘ট্যাটু করার সময় যে কালি ব্যবহার করা হয় তার মান ভাল না হলে ট্যাটু ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে।’ শুধু তাই নয়, ট্যাটু বা উল্কি আঁকার জন্য যে সূঁচ ব্যবহার করা হয়, তা নিরাপদ কিনা তাও জেনে নিতে হবে। একজনের গায়ে ব্যবহার করা সূঁচ কোনও ভাবেই অন্যজনের গায়ে ব্যবহার করা নিরাপদ নয়। এমনকী HIV-র মতো প্রাণঘাতী অসুখকে আমন্ত্রণ জানানো হয় এর দ্বারা।ইউরোপীয় কমিশনের মুখপাত্র সোনিয়া গোসপোডিনোভা জানান, ইউরোপীয় নাগরিকদের জনস্বাস্থ্যের সুরক্ষা আমাদের প্রাথমিক উদ্বেগ। ট্যাটুর কালিতে থাকা বিপজ্জনক রাসায়নিক বিপদ ক্রমশ বাড়াচ্ছে।এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের শরীরে ট্যাটু আছে, তাঁদের লিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে।ইউরোপীয় কেমিক্যালস এজেন্সি (ইসিএ) জানিয়েছে, ট্যাটুর কালিতে রাসায়নিক মিশ্রণ থাকে যা বিপজ্জনক হতে পারে। এটি ত্বকের অ্যালার্জি এবং ক্যানসারের মতো অসুখের কারণ।শুধু ট্যাটু করানোই নয়, এটি রিমুভ করার যে পদ্ধতি, সেটিও কিন্তু ক্ষতিকর।
