রাম লালা দর্শনে অযোধ্যায় কাতারে কাতারে মানুষ৷

Ram Mandir: প্রথম দিনই রাম লালার দর্শন করলেন কত লক্ষ মানুষ? অযোধ্যায় জন সুনামি

অযোধ্যা: ভিড় হবে জানত যোগী প্রশাসন৷ কিন্তু উদ্বোধনের পরের দিনই যে লক্ষ লক্ষ ভক্ত রাম মন্দির দর্শনে অযোধ্যায় হাজির হবেন, তা ভাবতে পারেনি উত্তর প্রদেশ সরকারও৷ সরকারি হিসেব অনুযায়ী, উদ্বোধনের পর আজই রাম মন্দিরে এসে রাম লালাকে দর্শন করেছেন ৫ লক্ষ মানুষ৷ যার জেরে এ দিন ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় অযোধ্যায়৷ ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েক জন৷

সোমবারই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামলালা দর্শনের জন্য সোমবার রাতেই পুণ্যার্থীদের ভিড় জমে যায় রাম মন্দির চত্বরে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় রাম মন্দিরে দরজা। সোমবার ভোররাত থেকেই লাইন দিতে শুরু করেন পূণ্যার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল সাতটা থেকে মন্দিরের দরজা খোলার পরই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় তো পুনার্থীদের মধ্যে। রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় মঙ্গলবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুপুর দুটোর পর থেকে অবশ্য পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে রাম মন্দির চত্বরে।

আরও পড়ুন: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরি ঠাকুরকে মরণোত্তর ভারত রত্ন! নীতীশের দাবি মানল মোদি সরকার

ভিড় নিয়ন্ত্রণে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশে দশায় দশায় পরিকল্পনা নিতে শুরু করে জেলা পুলিশ প্রশাসন। পুণ্যার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণে বসানো হয় লোহার রেলিং। জরুরি ভিত্তিতে মন্দিরের মূল গেট থেকে শুরু করে মন্দিরের মূল প্রবেশ পথ পর্যন্ত গোটাটাই লোহার রেলিং বসানো হয়। পূর্ণ্যার্থীদের জন্য যাতে একটি নির্দিষ্ট লাইন তৈরি করা যায়, তার জন্যই এই পরিকল্পনা কার্যকরী করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পরপরই পুণ্যার্থীদের একটি লাইন বরাবর মন্দির চত্বরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।

যদিও দুপুরের পর থেকেই উত্তর প্রদেশ পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী এটিএস-কে গোটা মন্দিরের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নামানো হয়। বিকেলে পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আগামিকাল, অর্থাৎ বুধবার থেকে মন্দির চত্বরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলেই জানা গিয়েছে। বিশেষ করে মন্দিরের মূল গেট থেকে মূল প্রবেশদ্বার পর্যন্ত ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা নেওয়া হবে। তবে মঙ্গলবার পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে রাম মন্দিরের লাগোয়া কয়েক কিলোমিটার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমন কি টোটো,অটো পর্যন্ত চলতে দেওয়া হয়নি রাস্তায়। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা রাখছে জেলার পুলিশ প্রশাসন।