শেয়ার এবং বন্ডের মতো, সরকারও হোল্ডিং পিরিয়ড অনুযায়ী সোনা বিক্রির উপর মূলধন লাভ কর সংগ্রহ করে। কিন্তু, যদি আয়করের ধারা ৫৪এফ-এর অধীনে কিছু শর্ত অনুসরণ করা হয়, তাহলে বিনিয়োগকারীরা মূলধন লাভ কর প্রদান এড়াতে পারে। ধারা ৫৪এফ-এর অধীনে, সম্পূর্ণ ছাড় দেওয়া হয় শুধুমাত্র সোনার বিক্রির উপর নয়, শেয়ার, বন্ড, মিউচুয়াল ফান্ড বা সম্পত্তির বিক্রি থেকে উদ্ভূত মূলধন লাভ করের উপরও।এই সুবিধা শুধুমাত্র পৃথক করদাতা বা হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) কে দেওয়া হয়। কেউ যদি সোনা বিক্রি করে থাকে এবং লাভটি একটি বাড়ি কেনা বা নির্মাণের জন্য ব্যবহার করে, তাহলে মূলধন লাভ কর হিসাবে একটি পয়সাও কর দিতে হবে না।সোনা বিক্রির উপর লাভের উপর কর বাঁচাতে, কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, শর্ত হল সোনা বিক্রির দুই বছরের মধ্যে বাড়িটি কিনতে হবে। কেউ যদি সোনা বিক্রির এক বছর আগেও একটি বাড়ি কিনে থাকে, তাহলে কর ছাড় পাওয়ার অধিকারী। যদি সোনা বিক্রির তিন বছরের মধ্যে নির্মাণাধীন সম্পত্তিতে বিনিয়োগ করা হয়, তাহলে কর ছাড়ও পাওয়া যাবে।শুধুমাত্র আবাসিক সম্পত্তির উপর ছাড় –লাইভ মিন্টের একটি রিপোর্ট অনুসারে, চৌহান অ্যান্ড কোম্পানির চিরাগ চৌহান বলেছেন, “করদাতাদের মনে রাখা উচিত যে, সোনার বিক্রির উপর মূলধন লাভ কর থেকে অব্যাহতি শুধুমাত্র আবাসিক সম্পত্তির উপর পাওয়া যায়, বাণিজ্যিক সম্পত্তিতে নয়। এটি কেনা উচিত এক বছর আগে বা দুই বছর পরে এমন সম্পদ বিক্রি করার পরে যার উপর মূলধন লাভ অর্জিত হয়।”ThetaVega Capital এর প্রতিষ্ঠাতা CA Paras Gangwal বলেছেন, “যদি করদাতারা একাধিক আবাসিক সম্পত্তির মালিক হন, তাহলে তাঁরা এই ছাড় দাবি করতে পারবেন না। ছাড় দাবি করার সর্বোচ্চ সীমা হল ১০ কোটি, যা ২০২৩ সালের বাজেটে চালু করা হয়েছিল। এর আগে এই ধরনের কোনও সীমা ছিল না।”মূলধন লাভ কর – সরকার বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ থেকে অর্জিত আয়ের উপরও কর আদায় করে। এই করকে বলা হয় মূলধন লাভ কর। মূলধন লাভ কর দুই প্রকার – স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী। এগুলোর ওপর করের হারও আলাদা। ধরা যাক কেউ কয়েক বছর আগে কোনও সম্পত্তি বা সোনায় ১ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। যা এখন বেড়ে ২ লক্ষ টাকা হয়েছে। তাই ১ লক্ষ টাকা মূলধন লাভ অর্থাৎ লাভ হিসাবে বিবেচিত হবে। শুধুমাত্র এর উপর ট্যাক্স নেওয়া হবে।
