Knowledge Story: আপনার শরীরে কত কেজি রক্ত আছে জানেন? লিটারেই বা সেই পরিমাণটা কত…জানেন না 99% মানুষ

আপনি কি জানেন একজন সুস্থ মানুষের শরীরে কতটা রক্ত ​​থাকা উচিত? একজন পুরুষ ও একজন নারীর শরীরে কতটা রক্তের প্রয়োজন? রক্তের অভাবে কোন ধরনের রোগ হতে পারে? কীভাবে এই ঘাটতি শনাক্ত করা যেতে পারে? এমন একাধিক অতি প্রয়োজনীয় প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানি না আমরা অনেকেই৷ এই প্রতিবেদনে তেমনই কিছু প্রশ্ন এবং তাদের সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে আলোচনা করব আমরা৷
আপনি কি জানেন একজন সুস্থ মানুষের শরীরে কতটা রক্ত ​​থাকা উচিত? একজন পুরুষ ও একজন নারীর শরীরে কতটা রক্তের প্রয়োজন? রক্তের অভাবে কোন ধরনের রোগ হতে পারে? কীভাবে এই ঘাটতি শনাক্ত করা যেতে পারে? এমন একাধিক অতি প্রয়োজনীয় প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানি না আমরা অনেকেই৷ এই প্রতিবেদনে তেমনই কিছু প্রশ্ন এবং তাদের সম্ভাব্য উত্তর নিয়ে আলোচনা করব আমরা৷
 প্রথম প্রশ্ন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে কতটা রক্ত ​​থাকা উচিত? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রায় ১০.৫ পিন্ট রক্ত ​​থাকা উচিত। অর্থাৎ, লিটার হিসাবে, এই পরিমাণ প্রায় ৫ লিটার। যদি কেজি, অর্থাৎ, কিলোগ্রাম হিসাবে ধরা যায়, তাহলে এই পরিমাণ কত?
প্রথম প্রশ্ন, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে কতটা রক্ত ​​থাকা উচিত? চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একজন সুস্থ মানুষের শরীরে প্রায় ১০.৫ পিন্ট রক্ত ​​থাকা উচিত। অর্থাৎ, লিটার হিসাবে, এই পরিমাণ প্রায় ৫ লিটার। যদি কেজি, অর্থাৎ, কিলোগ্রাম হিসাবে ধরা যায়, তাহলে এই পরিমাণ কত?
চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রক্তের অনুপাত তার মোট ওজনের প্রায় ৮ শতাংশ হওয়া উচিত। সহজ ভাষায়, আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে আপনার শরীরে রক্তের পরিমাণ হওয়া উচিত তার ৮%। তবে, একটি শিশুর রক্ত ​​তার মোট ওজনের প্রায় ৯ শতাংশ এবং একটি নবজাতকের শরীরে রক্তের পরিমাণ ​​তার মোট ওজনের ১০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়া উচিত।
চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ ও প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের শরীরে রক্তের অনুপাত তার মোট ওজনের প্রায় ৮ শতাংশ হওয়া উচিত। সহজ ভাষায়, আপনার ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে আপনার শরীরে রক্তের পরিমাণ হওয়া উচিত তার ৮%। তবে, একটি শিশুর রক্ত ​​তার মোট ওজনের প্রায় ৯ শতাংশ এবং একটি নবজাতকের শরীরে রক্তের পরিমাণ ​​তার মোট ওজনের ১০ শতাংশের কাছাকাছি হওয়া উচিত।
একজন সুস্থ নারী ও পুরুষের শরীরে কতটা পরিমাণ রক্ত থাকা প্রয়োজন? একজন সুস্থ পুরুষের শরীরে প্রায় ৫-৫.৫ লিটার (প্রায় ১২.২ পিন্ট) রক্ত ​​থাকা উচিত। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার শরীরে ৪-৪.৫ লিটার (প্রায় ৯ পিন্ট) রক্ত ​​থাকা প্রয়োজন।
একজন সুস্থ নারী ও পুরুষের শরীরে কতটা পরিমাণ রক্ত থাকা প্রয়োজন? একজন সুস্থ পুরুষের শরীরে প্রায় ৫-৫.৫ লিটার (প্রায় ১২.২ পিন্ট) রক্ত ​​থাকা উচিত। একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মহিলার শরীরে ৪-৪.৫ লিটার (প্রায় ৯ পিন্ট) রক্ত ​​থাকা প্রয়োজন।
শরীরে প্রতিদিন কত রক্ত ​​উৎপন্ন হয়? মানুষের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, প্লেটলেট এবং প্লাজমার মতো ৪টি উপাদান থাকে। আমাদের শরীর প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ লক্ষ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। লোহিত রক্ত ​​কণিকা তৈরি হয় আমাদের শরীরের অস্থিমজ্জার স্টেম সেল থেকে।
শরীরে প্রতিদিন কত রক্ত ​​উৎপন্ন হয়? মানুষের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা, প্লেটলেট এবং প্লাজমার মতো ৪টি উপাদান থাকে। আমাদের শরীর প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২০ লক্ষ লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে। লোহিত রক্ত ​​কণিকা তৈরি হয় আমাদের শরীরের অস্থিমজ্জার স্টেম সেল থেকে।
একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ৪০০ থেকে ২০০০ মিলিলিটার রক্ত ​​এবং তাঁর জীবদ্দশায় প্রায় ৩৪ হাজার ৪০০ লিটার রক্ত ​​তৈরি করে।
একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন ৪০০ থেকে ২০০০ মিলিলিটার রক্ত ​​এবং তাঁর জীবদ্দশায় প্রায় ৩৪ হাজার ৪০০ লিটার রক্ত ​​তৈরি করে।
কতটা পরিমাণ রক্ত দান করতে পারে মানুষ? আমেরিকান রেড ক্রস সোসাইটির রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন সুস্থ মানুষ একবারে এক পিন্ট (৪৭৪ ​​মিলি বা আধা লিটার) পর্যন্ত রক্ত ​​দান করতে পারেন। সহজ ভাষায়, শরীরের মোট রক্তের ১০% পর্যন্ত দান করা যেতে পারে।
কতটা পরিমাণ রক্ত দান করতে পারে মানুষ? আমেরিকান রেড ক্রস সোসাইটির রিপোর্ট অনুযায়ী, একজন সুস্থ মানুষ একবারে এক পিন্ট (৪৭৪ ​​মিলি বা আধা লিটার) পর্যন্ত রক্ত ​​দান করতে পারেন। সহজ ভাষায়, শরীরের মোট রক্তের ১০% পর্যন্ত দান করা যেতে পারে।
প্রতি মাসে কি রক্ত দেওয়া যায়? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতি ৫৬ দিন বা প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে রক্ত ​​দিতে পারেন। রক্তদানের সময় একটি বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। যদি কোনও ব্যক্তি আগে থেকেই কোনও রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে তাকে রক্তদান এড়িয়ে চলতে হবে।
প্রতি মাসে কি রক্ত দেওয়া যায়? স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একজন সুস্থ ব্যক্তি প্রতি ৫৬ দিন বা প্রায় দুই মাসের ব্যবধানে রক্ত ​​দিতে পারেন। রক্তদানের সময় একটি বিষয় মাথায় রাখা খুবই জরুরি। যদি কোনও ব্যক্তি আগে থেকেই কোনও রোগে ভুগে থাকেন, তাহলে তাকে রক্তদান এড়িয়ে চলতে হবে।
রক্তের অভাবে কোন রোগ হতে পারে? শরীরে রক্তের অভাবে নানা রোগ হতে পারে। যার মধ্যে রক্তস্বল্পতা (Anemia Symptoms) সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। নয়ডার ফেলিক্স হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ ডি কে গুপ্তা জানিয়েছেন, যখন শরীরে রক্তের অভাব তৈরি হয়, তখন আমাদের শরীর নিজেই অনেক সংকেত দিতে শুরু করে। যেমন দৃষ্টি ঝাপসা হতে শুরু করে, নখ সাদা হয়ে যায়, মুখে ঘন ঘন ফোসকা বের হতে থাকে, ত্বকের রং ফ্যাকাসে হতে থাকে, ক্লান্তি ও দুর্বলতা প্রায়ই অনুভূত হয়।
রক্তের অভাবে কোন রোগ হতে পারে? শরীরে রক্তের অভাবে নানা রোগ হতে পারে। যার মধ্যে রক্তস্বল্পতা (Anemia Symptoms) সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পায়। নয়ডার ফেলিক্স হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ ডি কে গুপ্তা জানিয়েছেন, যখন শরীরে রক্তের অভাব তৈরি হয়, তখন আমাদের শরীর নিজেই অনেক সংকেত দিতে শুরু করে। যেমন দৃষ্টি ঝাপসা হতে শুরু করে, নখ সাদা হয়ে যায়, মুখে ঘন ঘন ফোসকা বের হতে থাকে, ত্বকের রং ফ্যাকাসে হতে থাকে, ক্লান্তি ও দুর্বলতা প্রায়ই অনুভূত হয়।
ডাঃ ডি কে গুপ্তা বলেন, রক্তদান বা অন্য কোনও কারণে আমাদের শরীর থেকে সামান্য পরিমাণ রক্ত ​​চলে গেলে শরীর সহজেই তা পুনরুদ্ধার করা যায়। কিন্তু শরীরের মোট রক্তের পরিমাণ ১৫% এর বেশি কমে গেলে জীবন ঝুঁকি হতে পারে।
ডাঃ ডি কে গুপ্তা বলেন, রক্তদান বা অন্য কোনও কারণে আমাদের শরীর থেকে সামান্য পরিমাণ রক্ত ​​চলে গেলে শরীর সহজেই তা পুনরুদ্ধার করা যায়। কিন্তু শরীরের মোট রক্তের পরিমাণ ১৫% এর বেশি কমে গেলে জীবন ঝুঁকি হতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকে তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷)
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনে থাকে তথ্যের সত্যতা নিউজ ১৮ নিশ্চিত করে না৷ প্রয়োজনে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন৷)