ব্যবসা-বাণিজ্য Pure or Fake Gold: সোনা আসল না নকল ? গয়না কেনার সময় বুঝবেন কী করে ? Gallery February 27, 2024 Bangla Digital Desk গ্রাহকরা সোনার গয়না কেনার সময় যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করেন, সেই পরিমাণ সোনা পাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অনেক সময়ই এই বিষয়ে গ্রাহকদের সঠিক ধারণা থাকে না। কিন্তু, সোনার গয়না কেনার আগে তার গুণমান নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, একজন সাধারণ গ্রাহক কী করে বুঝতে পারবেন কোন সোনা আসল বা কোন সোনা নকল? ভারতে সোনার গহনার অথেন্টিসিটি নিশ্চিত করার কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়। অতীতে গহনার অথেন্টিসিটি নির্ধারণের একমাত্র উপায় ছিল সোনার উপাদানের অবশিষ্টাংশ গলানো এবং মূল্যায়ন করা। ক্যারোটোমিটারের মতো যন্ত্রের (এক্স-রে ব্যবহার করে সোনার বিশুদ্ধতার সঠিক রিডিং দেওয়া) অসুবিধা ছিল। কারণ প্রথমত সোনায় মিশ্রিত ইরিডিয়াম সনাক্ত করা কঠিন ছিল এবং দ্বিতীয়ত এক্স-রে নির্দিষ্ট মাইক্রনের নিচে প্রবেশ করতে পারে না। এছাড়াও জনপ্রিয়ভাবে ব্যবহৃত অন্য পদ্ধতিটি ছিল অ্যাসিড পরীক্ষা (একটি পাথরে গহনার একটি অংশ ঘষে এবং সোনার উপাদান পরীক্ষা করার জন্য নাইট্রিক অ্যাসিড ঢেলে। যেহেতু ধাতুটি নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে না এবং অন্য সমস্ত ধাতু সবুজ হয়ে যায়)। যাই হোক, এই পদ্ধতিতেও সোনার গয়নার লিঙ্ক এবং জয়েন্টগুলির বিশুদ্ধতা মূল্যায়ন করা প্রায়শই কঠিন ছিল। কারণ সেই অংশটি পাথরের উপর ঘষার অযোগ্য ছিল। উপরের উভয় পদ্ধতিই আগে ব্যবহার করা হলেও, বর্তমান সময়ে সর্বোত্তম উপায় হল ছয়-সংখ্যার আলফানিউমেরিক কোড চেক করা। যাকে হলমার্ক ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন (HUID) নম্বরও বলা হয়। এই নম্বর প্রতিটি গহনার জন্য অনন্য। গ্রাহকরা এই আলফানিউমেরিক কোডটি যাচাই করতে BIS কেয়ার অ্যাপ ব্যবহার করতে পারে, যা একটি স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে রাখা যায়। হলমার্কটি প্রায়শই গহনার ক্ল্যাপস বা রিংয়ের ভিতরের ব্যান্ডগুলিতে মুদ্রিত হয়। এটি সাধারণত কয়েন এবং বুলিয়নের পেজে দৃশ্যমান। স্ট্যাম্পে BIS (Bureau of Indian Standards) লোগো রয়েছে। বিশুদ্ধতা নির্ধারণের জন্য ১ থেকে ৯৯৯ বা ০K থেকে ২৪K পর্যন্ত একটি সংখ্যা, গ্রেডিং সিস্টেমে ব্যবহার করা হয় এবং এর জন্য একটি ছয় সংখ্যার অনন্য কোডের উপর নির্ভর করতে হয়। ২০২৩ সালের ১ এপ্রিল থেকে সোনার গয়নায় এই ছয় সংখ্যার কোড ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।