Pakistan beat Afghanistan : আফগানদের হারিয়ে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জয়ের হ্যাটট্রিক বাবরের পাকিস্তানের

আফগানিস্তান- ১৪৭/৬
পাকিস্তান -১৪৮/৫

পাকিস্তান জয়ী ৫ উইকেটে

#দুবাই: দুই দেশের সীমানা প্রায় ২৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। ডুরান্ড লাইন নিয়ে সমস্যা থেকে শুরু করে তরখাম বর্ডারে গন্ডগোল, হামেশাই ঝামেলা লেগে থাকে দুই দেশের মধ্যে। আফগানিস্তানের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার পেছনে পাকিস্তানের অদৃশ্য হাত আছে বলে মনে করেন অনেকে। কিন্ত আজকের আগে পর্যন্ত দুই দেশের লড়াইয়ে পাঁচবারের সাক্ষাতে ৫-০ এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। আজ পড়শি দেশের বিরুদ্ধে ব্যবধানটা ৬-০ হয় কিনা দেখার ছিল।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু সিদ্ধান্ত একেবারেই ফ্লপ পরিণত হয়। পাকিস্তানি বোলারদের দাপটে প্রথম থেকেই ব্যাকফুটে আফগান ব্যাটসম্যানরা। যাজাই (০), শাহজাদ (৮), গুরবাজ (১০), আসগার আফগান (১০) ফিরে যান কিছু না করেই। করিম জানত (১৫) এবং নাজিবুল্লাহ জাদরান ( ২২) কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শাদাব খান এবং ইমাদ ওয়াসিম দুজনকে ফিরিয়ে দেন। একটা সময় ৭৬-৬ হয়ে পড়ে আফগানিস্তান।

এই জায়গা থেকে অধিনায়ক নবি এবং গুলবাদিন লড়াই করে আফগানিস্তানের রান ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান। দুজনেই অপরাজিত থাকেন ৩৫ করে। এদিনও শাহিন আফ্রিদি, হ্যারিস রউফ দুরন্ত গতিতে বল করেন। মূলত এই দুজনের গতির কাছে চাপে পড়ে যান আফগান টপ অর্ডার। রান তাড়া করতে নেমে তাড়াতাড়ি ফিরে যান রিজওয়ান। ৮ করে মুজিবের বলে নবীনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর অধিনায়ক বাবর এবং ফখর জামান মিলে পাকিস্তানের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন।

বাবর ৩৬ রানের মাথায় এলবিডব্লিউ হয়ে যান রশিদ খানের বলে। কিন্তু পরে রিভিউ নিয়ে দেখা যায় তিনি আউট ছিলেন না। ফখর অবশ্য ৩০ করে নবির বলে এলবি হয়ে যান। কিন্তু চার নম্বরে নেমে অভিজ্ঞ হাফিজ ঠান্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। এই ম্যাচে পাকিস্তানের জয় পাওয়া নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না।হাফিজ রশিদ খানের বলে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ১০ রান করে। টি টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মালিক হলেন রশিদ খান।

 এলেন শোয়েব মালিক। নিজের অর্ধশতরান পূর্ণ করলেন বাবর। চলতি বিশ্বকাপে নিজের স্বপ্নের ফর্ম বজায় রাখলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। রশিদ খানের বলে ছক্কা হাঁকান শোয়েব মালিক। এই ওভারেই বাবরের সহজ ক্যাচ মিস করেন নভিন। তবে শেষ বলে বাবরের উইকেট নাড়িয়ে দিলেন আফগান লেগ স্পিনার।তরুণ আফগান পেসার নাভিন উল হকের বলে শোয়েব মালিক ১৯ করে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন। এইখানে কিছুটা নাটক তৈরি হয়।

শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৪ রান। উনিশ তম ওভারের প্রথম বলেই জনতকে ছক্কা হাঁকান আসিফ আলি। তিন নম্বর বলে আবার ছক্কা আসিফের। ঠিক যেমন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনি করেছিলেন। পঞ্চম বলে আবার মাঠের বাইরে বল। যেটুকু সময় স্বপ্ন আফগানিস্তান দেখেছিল, আসিফ আলির চার ছক্কায় সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল। এক ওভার আগে থাকতেই ম্যাচ জিতে নিল পাকিস্তান।