বোরিং রোডের জিভি মলকে পাটনার ট্যাটু হাব বলা হয়। প্রতিদিন কয়েকশো লোক এখানে আসেন। ট্যাটু করান। ইদানীং ট্যাটু শুধু ফ্যাশন নয়, স্টাইল স্টেটমেন্টও। তবে ট্যাটু করানোর আগে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখা জরুরি। নাহলে চরম মূল্য দিতে হতে পারে।পাটনা ইঙ্কের ট্যাটু শিল্পী নরে লামা নেপালের বাসিন্দা। গত ১২ বছর ধরে কাজ করছেন। গ্রাহকের পছন্দসই ডিজাইন ফুটিয়ে তুলতে জুড়ি নেই তাঁর। নরে লামা বলছেন, ট্যাটু করানোর আগে ত্বকের সংবেদনশীলতা পরীক্ষা করানো উচিত। সংবেদনশীল ত্বকে এলার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটাও জরুরি।অভিজ্ঞ শিল্পীর কাছেই ট্যাটু করানো উচিত। দেখতে হবে যেন সঠিকভাবে এবং নিরাপদে ট্যাটু আঁকা হয়। ভবিষ্যতে যাতে কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা না হয়।ট্যাটুর ডিজাইন এবং আকার খুব ভেবেচিন্তে বাছতে হয়। কারণ এটা চিরকাল রয়ে যাবে। নরে লামার কথায়, তাড়াহুড়োয় সিদ্ধান্ত নিলে ভবিষ্যতে অনুশোচনা করতে হতে পারে। প্রয়োজনে শিল্পীর পরামর্শ নেওয়া উচিত।ট্যাটু করার পর ত্বকের যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। নরে লামা ত্বক পরিস্কার এবং শুকনো রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, খুব বেশি যেন সূর্যের আলো না লাগে। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে। ট্যাটুর রঙও ভাল থাকে।সুগার রোগীদের ক্ষেত্রে ট্যাটু করার ত্বক আগের অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগে। তাঁদের সাবধানে থাকতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।আরেক ট্যাটু শিল্পী আমান শেরপা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি খুব গুরুত্বপূর্ণ। ট্যাটু করার স্রঞ্জাম এবং অন্যান্য পণ্যের গুণমানের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া উচিত।ট্যাটু করতে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৪০০ টাকা খরচ হয়। আমান শেরপা মনে করেন, অভিজ্ঞ শিল্পীর কাছ থেকেই ট্যাটু করানো উচিত। তাঁরা সঠিক যন্ত্রপাতি, ভাল রঙ এবং স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে ট্যাটু করেন। যাতে ত্বকের কোনও ক্ষতি না হয়। ট্যাটুর মানও ভাল থাকে।
