Deputy Speaker Candidate of INDIA: মমতার পরামর্শে ডেপুটি স্পিকার পদে ঠিক করা হল প্রার্থী! সমর্থন কংগ্রেসেরও, বড় চমক দিচ্ছে INDIA

নয়াদিল্লি: লোকসভার ডেপুটি স্পিকার নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে চমক দিতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট৷ স্পিকার পদপ্রার্থী হিসাবে কে সুরেশকে একক ভাবে মনোনীত করার সিদ্ধান্ত মোটেই ভাল লাগেনি তৃণমূল তথা বাকি শরিক দলের৷ তা বুঝিয়েও দেওয়া হয়েছে রাহুল-খাড়্গেদের৷ এবার তাই সর্বসম্মত ভাবে একজনেরই নাম স্থির করা হয়েছে ডেপুটি স্পিকারের পদপ্রার্থী হিসাবে৷ আর সেই নাম হচ্ছে অবধেশ প্রসাদ৷

সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে ঠিক করা হয়েছে, উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদ কেন্দ্র ( যার মধ্যে রয়েছে অযোধ্যা) থেকে জয়ী সমাজবাদী পার্টির (সপা) সাংসদ অবধেশ প্রসাদকে লোকসভার ডেপুটি স্পিকার পদের জন্য প্রার্থী করা হবে। এই ভাবনার পিছনে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

আরও পড়ুন: মহিলা সংগঠন শক্তিশালী করতে এবার নয়া প্ল্যান তৃণমূলের! বৈঠকী সাক্ষাৎ থেকে শুরু করে মুখোমুখি আমরা, পর পর কর্মসূচি

পরে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমাজবাদী পার্টির লোকসভার দলনেতা অখিলেশ যাদবের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

অভিষেক ও অখিলেশের মধ্যে এ বিষয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ডেপুটি স্পিকার পদে নির্বাচনের জন্য নিজেদের প্রার্থী দিতে চায়নি তৃণমূল৷ পরে যৌথ ভাবেই কংগ্রেস ও অন্যান্য শরিকদলের সামনে অবধেশ প্রসাদের নাম প্রস্তাব করা হয়৷ তাতেই সমর্থন পাওয়া গিয়েছে কংগ্রেসের৷

আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ড বিধানসভা ভোটে বিজেপির টার্গেট ২৬% আদিবাসী ভোট, সেই অনুযায়ী অঙ্ক কষা শুরু হিমন্ত বিশ্বশর্মার

অযোধ্যার সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি তিনি দলিত নেতা। কৃষকদের মধ্যেও জনপ্রিয়। তাঁর ফৈজাবাদ কেন্দ্রেই বিজেপি-কে হারিয়েছে সমাজবাদী পার্টি।

এর আগে স্পিকার পদের কে সুরেশকে একক ভাবে প্রার্থী করা নিয়ে, কংগ্রেসের একক সিদ্ধান্তে চরম আপত্তি ছিল তৃণমূল সহ একাধিক শরিক দলের। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাহুল গান্ধি ফোন করলে জটিলতা কাটে৷ এবার সেই সমস্যা মিটিয়ে একসাথে এগোনোর প্রস্তুতি৷

ভারতীয় গণতন্ত্রের অলিখিত রীতি অনুযায়ী, ডেপুটি স্পিকারের পদটি দেওয়া হয় বিরোধীদের। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার গত পাঁচ বছর ডেপুটি স্পিকার পদটি ফাঁকা রেখেছিল। বস্তুত, বিরোধীরা মনে করছে, ডেপুটি স্পিকার পদটি না দিয়ে আগের পাঁচ বছর তাঁদের সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এবার অন্তত সরকারের উচিত ডেপুটি স্পিকারের পদটি বিরোধীদের দেওয়া।