গ্রীষ্মের মরশুমে এখন পাহাড়মুখী পর্যটকেরা। আপনিও কি এই তীব্র গরমে পাহাড় বা ডুয়ার্স ঘুরতে যেতে চাইছেন? কিন্তু মিলছে না ট্রেনের টিকিট? কারণ নিয়মিত ট্রেনগুলিতে মিলছে না কোন টিকিট। প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই লম্বা ওয়েটিং লিস্ট। (প্রতীকী ছবি)

Indian Railway: জিরো স্ক্র্যাপ মিশন! বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করে রেকর্ড আয় ভারতীয় রেলের 

নয়াদিল্লি: বিগত অর্থবর্ষে সর্বাধিক বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির কৃতিত্ব অর্জন উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের।  ভারতীয় রেলওয়ের ‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অনুযায়ী উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজের সব কয়েকটি ডিভিশনে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এই মিশন সফল করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ডিভিশন, ওয়ার্কশপ ও শেডগুলিকে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।

বিগত অর্থবর্ষ  ২০২৩-২৪ সালে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি থেকে ২০২.৮৪ কোটি টাকা আয় করেছিল। এই বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করার দ্বারা উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড অর্জন করে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের ১৮৯.৯২ কোটি টাকার বর্জ্য বিক্রির তুলনায় এই বৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ।

‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’-এর অধীনে এই অভিযান চলাকালীন, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বিগত অর্থবর্ষে ২৩৫৫৩ এমটি স্ক্র্যাপ রেল/পি-ওয়ে উপকরণ এবং ১৯১৯২ এমটি বিভিন্ন বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করেছে। এছাড়া এই সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ২৬টি ডিজেল লোকোমোটিভ, ২৪৭টি কোচ এবং ২৮৪টি ওয়াগনও বিক্রি করে। ​‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’ অভিযানের ফলে শুধুমাত্র যে ভারতীয় রেলওয়ের রাজস্বই উৎপন্ন হয়েছে তা নয়, বরং এর পাশাপাশি অন্যান্য বর্জ্য সামগ্রী এবং উপাদান জমা করার স্থানও তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন: রাজ্যে বৃষ্টির আশা মাত্র দুই জেলায়, চরম তাপপ্রবাহ কোথায় কোথায়? রইল সর্বশেষ আপডেট

স্টেশন, ডিপো, শেড, ওয়ার্কশপ ও সেকশনগুলি যাতে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখা যায় তার জন্য এই মিশনের অধীনে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পর্যবেক্ষণের ফলে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার পাশাপাশি স্টেশন, কর্মক্ষেত্র ও চারপাশের এলাকার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি হয়েছে। এছাড়াও রেলওয়ে চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ অনকূল করে রাখার ক্ষেত্রে এই মিশন সহায়ক হয়ে উঠেছে। রেল সূত্রে খবর, একটা সময় এই স্ক্র‍্যাপ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল৷ যদিও সেই অভিযোগ এখন আর নেই৷ পুরোপুরিভাবে এই স্ক্র‍্যাপ অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়৷