একেবারে ঘণ্টায় ৩০ কিমি গতি বৃদ্ধি Photo Courtesy- Indian Railways

Indian Railways: ভারতীয় রেলের বড় খবর, এক ধাক্কায় ৩০ কিমি গতিবৃদ্ধি, গড়ে ১১০ কিমি গতিবেগে ছুটবে ট্রেন

আগরতলা: উপযুক্ত পরিস্থিতিতে রেলওয়ে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণ এবং রেল যাত্রী ও স্টেক হোল্ডারদের সুরক্ষিত পরিবহণ ও আরামদায়ক ভ্রমণ অভিজ্ঞতা প্রদান করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে চলমান সুরক্ষা কার্য পরিকল্পনা ও কাজের অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে একাধিক ট্র্যাক নবীকরণের কাজ গ্রহণ করা হয়েছে। বিগত অর্থবর্ষের নির্ধারিত বার্ষিক লক্ষ্য অতিক্রম করেছে এই ট্র্যাক নবীকরণের কাজ, যার ফলে এই জোনের দ্বারা উল্লেখযোগ্য কর্ম নিদর্শন চিহ্নিত করা হয়েছে।

চলমান সুরক্ষা কার্য পরিকল্পনা ও কাজের অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২৫৭.৯৮ টিকেএম থ্রু রেল নবীকরণ, ২১০.৭১ টিকেএম থ্রু স্লিপার নবীকরণ এবং ২৬৪.১৬ সিটিআর ইউনিট সম্পূর্ণ ট্র্যাক নবীকরণ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন – IPL 2024: কেকেআর ম্যাচের দিনে সিএসকে ক্যাম্পের ব্যাটিং অর্ডারের মেগা রহস্য ফাঁস

এছাড়াও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ব্যালাস্টিং কাজের অগ্রগতির ক্ষেত্রে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ৫ লক্ষ কিউবিক মিটারের বিপরীতে ৭.২৭ লক্ষ কিউবিক মিটার অর্জন করেছে, যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ অগ্রগতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে এবং বিগত বছরের ৬.৩৪ লক্ষ কিউবিক মিটার অগ্রগতিকে অতিক্রম করেছে।

অতিরিক্তভাবে, ২০২২-২৩-এর অগ্রগতি ৩৫টির তুলনায় ১৩৪টি থিক ওয়েব সুইচ স্থাপন করা হয়েছে।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে পথ সুরক্ষা কাজের অংশ হিসেবে পথ এবং রেল ব্যবহারকারীদের চলাচল সহজ করার জন্য ১৯টি কর্মীযুক্ত লেভেল ক্রসিং অপসারন করার পাশাপাশি ২০টি রোড ওভার ব্রিজ (আরওবি) এবং ৪৮টি রোড আন্ডার ব্রিজ (আরইউবি) চালু করা হয়েছে।

এছাড়াও, ২০২৪-এর মার্চ মাস পর্যন্ত ১১৮.২০ কিমি লুপ লাইনের উপর সর্বোচ্চ গতির সীমা প্রতি ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ৮০৩.৫ কিমি-এর সেকশনাল গতি প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেকশনাল গতি ৪২ শতাংশের অগ্রগতি চিহ্নিত করেছে। এছাড়াও, বর্ষাকালে বন্যার সমস্যা নিরসন করতে ৯টি অতিরিক্ত ওয়াটারওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে।

রেলওয়ে ব্রিজ পর্যবেক্ষণ করার জন্য স্ট্রাকচারাল হেল্থ মনিটরিং, ৩ডি স্ক্যানিং অব রিভার বেড, আরওআরভি (রিমোট অপারেটেড রোবোটিক ভেহিক্যাল) দ্বারা জলের নীচে নিরীক্ষণ, স্কৌর মনিটরিং ও ওয়াটার লেভেল মনিটরিং-এর মতো আধুনিক পর্যবেক্ষণ কৌশল চালু করা হয়েছে।নিয়মিত বিরতিতে ট্র্যাকের রক্ষণাবেক্ষণ করার ফলে ট্রেনের সুগম পরিচালনা সম্ভব হয়েছে এবং যাত্রীদের উন্নতমানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতাও প্রদান করা হচ্ছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বারা রেলওয়ে ট্র্যাকের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর বর্ধিত গুরুত্ব প্রদান করার ফলে গতি বৃদ্ধি ও উন্নত ভ্রমণ অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ট্রেনের নিরাপদ চলাচলও সম্ভব হয়েছে।

Abir Ghosal