Indian Railways: বিমানবন্দরের ধাঁচে স্টেশন হচ্ছে এবার এই পশ্চিমবঙ্গে! থাকছে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা, কোথায়?

নয়াদিল্লি: উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে রেল সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে রেলওয়ে পরিকাঠামো প্রকল্পের জন্য ২০২৪-২৫ অন্তর্বর্তী বাজেটে ১০,৩৬৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। অমৃত ভারত স্টেশন স্কিম (এবিএসএস)-এর অধীনে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে অধিক্ষেত্রের মধ্যে ৯১টি স্টেশনকে বিশ্বমানের সুযোগ-সুবিধা সহ পুনর্বিকশিত করা হবে।

নির্বাচিত রেলওয়ে স্টেশনগুলির মধ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কাটিহার ডিভিশনের কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের উল্লেখযোগ্য নতুন রূপ প্রদানের জন্য ব্যয় ধার্য করা হয়েছে ২৪.৮৭ কোটি টাকা।

এই স্টেশনটির পুনর্বিকাশের ফলে নিকটবর্তী অঞ্চলগুলির রেলওয়ে ব্যবহারকারীরা অত্যাধুনিক সুবিধা লাভ করবেন। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার এক বৃহৎ অঞ্চলের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হলো কালিয়াগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটির প্রস্তাবিত পুনর্বিকাশের বিভিন্ন চলমান কাজের প্রায় ৫০ শতাংশ অগ্রগতি দেখা গেছে।

আরও পড়ুন: সেই ১৮৮৫ সাল থেকে হয়ে আসছে রথ টানা, পুরীর আদলে মাহেশের মন্দিরে এবার অপেক্ষা করছে নতুন চমক

পুনর্বিকশিত স্টেশনের অধীনে প্লট কভারেজের উপর পর্যবেক্ষণ, ভবিষ্যতে অতিরিক্ত প্ল্যাটফর্মের ব্যবস্থা, ৩ডি ভিউ এবং মাস্টার প্ল্যান, সীমানা নির্ধারণ, স্থানান্তরিত ও ভেঙে ফেলার কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। এছাড়াও, রিটেইল কিওস্ক যাত্রীদের সুবিধার অন্যান্য উপাদন সহ ১২ মিটার এফওবি-এর পরিকল্পনা জমা করা হয়েছে এবং তা পর্যালোচনার অধীনে রয়েছে।

এমনকি, এফওবিগুলি লিফ্টের পাশাপাশি প্রদান করা হবে যাতে প্রত্যেকটি প্ল্যাটফর্ম এবং স্টেশনের অংশগুলিতে সহজেই যাতায়াত করা যায় তার জন্য ভালোভাবে ও দক্ষতার সাথে সংযুক্ত করা হবে। সাইটের অবস্থা অনুযায়ী এফওবি-এর স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে এবং দিব্যাঙ্গজনের জন্যও পৃথক মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। দিব্যাঙ্গজনদের পাশাপাশি পুরুষ ও মহিলা উভয়ের জন্য নতুন শৌচালয় নির্মাণ ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাগুলি প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন: সকাল সকাল মাছ কিনতে গিয়ে আর ফেরা হল না বাড়ি! নেতার বিএমডব্লিউ গাড়ির ধাক্কায় মুম্বইয়ে মৃত মহিলা, ধৃত নেতার ছেলে

প্ল্যাটফর্ম লেআউট, সাইনেজ প্ল্যান, ড্রেনেজ প্ল্যান, কেবল রুট প্ল্যান ইত্যাদি কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্টেশনটিতে বৃষ্টির জল সংগ্রহ, নালা পরিশোধন প্ল্যান্ট, সাবস্টেশন, ইআই বিল্ডিং এবং সোলার প্ল্যান্টের জন্যও সুবিধা থাকবে। স্টেশন চত্বরটি সম্পূর্ণ নিরাপদ ও প্রত্যেকটি শ্রেণির যাত্রীর জন্য সহজ প্রবেশযোগ্য করে তুলতে চিহ্নযুক্ত সঠিক আলোর ব্যবস্থা করা হবে।

এই স্টেশনটির উন্নয়নের ফলে নতুন কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ব্যবসায়িক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হবে এবং যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করে তুলবে। এই উন্নত স্টেশনটি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ভূমিকা পালন করবে, এর ফলে যোগাযোগ ও আর্থিক উভয় ক্ষেত্রেই বিকাশ ঘটবে।