কলকাতা Rail: রেলের লবি নাকি ‘ফাইভ স্টার’ হোটেল! রোজ যান কিন্তু চোখে পড়েনি নিশ্চই! শিয়ালদহের এই অংশ দেখলে চমকে যাবেন Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk *পূর্ব রেলের রানিং রুমগুলিতে রানিং স্টাফদের জন্য উপলব্ধ বিশ্বমানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। শিয়ালদহ ডিভিশনের রানিং রুম বা ক্রু-লবি দেখলে মনে হবে যেন ফাইভ স্টার হোটেল। সম্প্রতি একের পর এক ট্রেন দূর্ঘটনা বা নানা বিপত্তির জেরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে চালক বা সহকারী চালকদের ব্যাপারে আদৌ কি চিন্তিত রেল৷ তাদের কি যথাযথ বিশ্রাম দেওয়া হয়৷ তাদের জন্য কি যথাযথ পরিকাঠামো রয়েছে। রেলের সেই ক্রু-লবি অবশ্য ঘুরে দেখা গেল ঝাঁ-চকচকে পরিকাঠামো। সংগৃহীত ছবি। *ট্রেনের সুগম ও সুরক্ষিত চলাচলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত প্রধান দুটি ক্যাটাগরি তথা লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট-সহ রানিং রুম স্টাফদের জন্য রানিং রুমগুলিতে সর্বোত্তম সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য শিয়ালদহ ডিভিশন সর্বদা একনিষ্ঠ ও আন্তিরকভাবে নিয়োজিত থাকে। তাদের জন্য বিশ্বমানের বিজ্ঞানসম্মত সুবিধা দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন ডিআরএম শিয়ালদহ দীপক নিগম। সংগৃহীত ছবি। *পূর্ব রেলওয়েতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সহ একাধিক রানিং রুম রয়েছে। প্রত্যেকটি রানিং রুমে সংযুক্ত শৌচালয় সহ পর্যাপ্ত আয়তনের ডাবল বেডের সাউন্ড প্রুফ রুম, ধ্যান এবং যোগ অনুশীলন করার জন্য মেডিটেশন রুমের মতো সুবিধা রয়েছে, যাতে ট্রেন চালানোর সময় তাঁরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ ও সতেজ থাকেন। সংগৃহীত ছবি। *রয়েছে রিডিং রুম, ডাইনিং হল, পৃথক ভেজ ও নন-ভেজ কিচেন, আরঅ’ পিউরিফায়েড পানীয় জল, পরিষ্কার ক্ষৌমবস্ত্র, সোলার হট ওয়াটার সিস্টেম, লন্ড্রি/আইরনিং, সম্পূর্ণ শরীর ও ফুট ম্যাসেজার, ট্রেডমিল এবং অটোমেটিক সাইকেলের মতো আধুনিক সরঞ্জাম সহ জিমনেসিয়াম। এই সুবিধাগুলি লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটের মতো রানিং স্টাফদের প্রদান করা হয়, যাতে কর্তব্য শেষ হওয়ার পর তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম লাভ করেন এবং সতেজ ভাব নিয়ে পুনরায় তাঁদের কর্তব্য শুরু করতে পারেন। সংগৃহীত ছবি। *এই রানিং রুমগুলি হলো লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের জন্য বাড়ি থেকে দূরের বাড়ির মতো। যাত্রীদের জন্য এবং আমাদের দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী নিরাপদে, সময় অনুযায়ী এবং দক্ষভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটরা প্রায়ই গভীর রাতে এমনকি মধ্য রাতেও নিজেদের কর্তব্য শেষ করেন। তাঁরা যেন উপযুক্ত বিশ্রাম এবং আহার লাভ করতে পারে তা নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তাঁরা নিজেদের পরবর্তী কাজের সময় সতর্ক ও সতেজ থাকতে পারেন এবং কোনোরূপ বাধা ছাড়া ট্রেনের চলাচল নিশ্চিত করতে পারেন। সংগৃহীত ছবি। *পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, সময়ে সময়ে লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের পরিবারবর্গের সাথে বার্তালাপের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রেনে তাঁদের কর্তব্য পালনের সময় তাঁদের কাজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা তাঁদের পরিবারের সদস্যরাও যাতে বুঝতে পারেন তার জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।এছাড়া নিয়ম অনুযায়ী লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটরা যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম লাভ করতে পারেন তা রেলওয়ের পক্ষ থেকে সবসময় নিশ্চিত করা হয়। সংগৃহীত ছবি।