ট্রেনের একাধিক রদবদল! বাতিলও হয়েছে বেশ কিছু, উত্তর থেকে দক্ষিণে যাওয়ার আগে জানুন সময়সূচী

Indian Railways: ভারতীয় রেলের বড় চমক! পরিবেশ রক্ষায় অভিনব উদ্যোগ

মালিগাঁও: স্থায়িত্বের প্রতি প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে মালিগাঁওয়ের বিজি কলোনিতে অবস্থিত একটি বর্জ্যভূমি পুনরুদ্ধার করে সেখানে সিরিশা রেল উদ্যান নামে একটি পার্ক নির্মাণ করেছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বদাই পরিবেশ রক্ষা এবং আগামী প্রজন্মের জন্য গ্রহটি সংরক্ষণ করে রাখথে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করে। নবনির্মিত সিরিশা রেল উদ্যানের স্থানটি এক সময়ে একটি বর্জ্যভূমি ছিল। কিন্তু আবর্জনা ও জল জমতে জমতে স্থানটি প্রায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পরিণত হয়। যা সমাজের জন্য এবং নিকটবর্তী বাসিন্দাদের জন্য এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

কদর্যময় ও ভয়ঙ্কর দেখতে এই স্থানটির চারপাশের পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছিল দূষিত গন্ধ। যার ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ভূমিটি পুনরুদ্ধার করে সেখানে স্থানীয় জনগণের জন্য একটি পার্ক নির্মাণ করা হয়। সব ধরনের বয়সের মানুষের জন্য ওয়াকিং ও রানিং ট্র্যাকের মতো আধুনিক সুবিধাযুক্ত এই পার্কটি আয়তনে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাঁজার বর্গমিটার। এখানে বসার ব্যবস্থা, লন এবং ওপেন জিমের সুবিধা রয়েছে।

আরও পড়ুন- চিকেন খেলেই কি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায়? কোনও ভুল করছেন না তো! মুরগির মাংস খাওয়ার আগে জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞ

মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক ওয়াশরুম রয়েছে। পার্কটির দেওয়ালে অসমের প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান প্রসারের লক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। শিশুদের খেলার স্থানের পাশাপাশি সোলার এলইডি ল্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। দুটি জলের ফোয়াড়া সহ একটি আকর্ষণীয় জলাশয় তৈরি করা হয়েছে।এই পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য স্থানীয় জনগণ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের প্রশংসা করে কারণ আবর্জনা, মাছি ও মশার কবল থেকে তাঁরা এখন মুক্ত হতে পেরেছেন। শিশুরা যাতে খেলাধুলো করতে পারে এবং মানুষের একটু হাঁটার জন্য এলাকার জলাশয়টি একটি পার্কে রূপান্তরিত হওয়ার পর থেকে এখানে সবকিছুর পরিবর্তন ঘটেছে।

আরও পড়ুন- আয়রনের খনি! এই ৫ দানাই পুষ্টির পাওয়ার হাউজ, এভাবে খেলেই বুড়ো বয়সেও লোহার মতো মজবুত থাকবে হাড়

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, আমাদের এই গ্রহকে একটি উন্নত স্থান হিসেবে গড়ে তোলার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ রোপণ করে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে আমাদের পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে নিয়োজিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা এবং জৈব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও স্থায়ী উন্নয়নে সাহায্য করা একটি কৌশলগত প্রতিশ্রুতি।