Indian Railways: ‘গ্রো-গ্রিন’ লক্ষ্য অর্জনের পথে অগ্রসর উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে

কলকাতাঃ ২০৩০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্য অর্জন করতে ভারতীয় রেলওয়ের নীতির সঙ্গে  সংগতি রেখে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে। ফসিল ইন্ধনের উপর নির্ভরতা আরও কম করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার অধিক্ষেত্রের সার্ভিস বিল্ডিং ও অন্যান্য স্থাপনাগুলিতে রুফ-টপ সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের দ্বারা আরও অধিক সবুজ শক্তি উৎপন্ন করার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুনঃ কলকাতা মেট্রোর সমস্ত করিডোরে সি বি টি সি সিগন্যালিং ব্যবস্থা চালু হবে

‘গো গ্রিন’ অভিযানের অধীনে ২০২৪-এর এপ্রিল পর্যন্ত উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অন্তর্গত ১৪৬টি স্টেশন ও অন্যান্য সার্ভিস বিল্ডিং-এ ইতিমধ্যে স্থাপন করা রুফ টপ প্যানেলের মাধ্যমে ৬৭৪৭ কিলো ওয়াট পিক (কেডব্লিউপি) উৎপন্ন হচ্ছে, যার ফলে ৪৭.০৫ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ সঞ্চয় করা যাবে। রুফ টপ প্যানেলের মাধ্যমে সৌর শক্তি উৎপন্ন করার অবদানের তালিকায় অসম, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ত্রিপুরা, অরুণাচল প্রদেশ, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডের সার্ভিস বিল্ডিং এবং অন্যান্য স্থাপনগুলি যুক্ত হয়েছে।

ডিভিশন অনুযায়ী দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য কাটিহার, আলিপুরদুয়ার, রঙিয়া, লামডিং ও তিনসুকিয়ায় যথাক্রমে ৬৫৭ কেডব্লিউপি, ৪২৬ কেডব্লিউপি, ৯২৫ কেডব্লিউপি, ১০৩৫ কেডব্লিউপি এবং ২০৭ কেডব্লিউপি সৌর শক্তি উৎপন্ন করছে। গুয়াহাটিতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য কার্যালয় কমপ্লেক্সও ১৪৯৭ কেডব্লিউপি এই উৎপন্ন প্রক্রিয়ার অবদানের মধ্যে রয়েছে। দুটি ওয়ার্কশপ যথাক্রমে নিউ বঙাইগাঁও ও ডিব্রুগড়েও ১০০০ কেডব্লিউপি করে সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।সম্প্রতি সম্পূর্ণ হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে অসম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি স্টেশন ও অন্যান্য সার্ভিস বিল্ডিঙে ৬০৯ কেডব্লিউপি সৌর শক্তি উৎপন্ন করার সোলার রুফ টপ প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে।

আলিপুরদুয়ার, রঙিয়া ও লামডিং ডিভিশনে যথাক্রমে ২০টি, ২২০টি ও ৩৬৯টি স্থানে সোলার রুফ টপ পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ধুপগুড়ি ও ফালাকাটা, লামডিং ডিভিশনের অগরতলা ও সাব্রুম এবং রঙিয়া ডিভিশনের অধীনে ধলাইবিল, নিজ চতিয়া, নিজ বরগাং, সরভোগ, পাতিলাদহ, বিজনি, ধুপধরা, রংজুলি ও শিংরার মতো মেজর স্টেশনগুলিতে সৌলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে তার শক্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সৌর শক্তির সর্বাধিক ব্যবহার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এর ফলে স্টেশন ও অন্যান্য সার্ভিস বিল্ডিংগুলির দৈনন্দিন বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সহায়ক হবে। পরিবেশ-বান্ধব হওয়ার পাশাপাশি এর ফলে রেলওয়ের জন্য মূল্যবান ঘরচ ও দেশের জন্য বিদেশি মুদ্রা সাশ্রয় করতে সহায়ক হবে।